স্বাস্থ্যখাতে শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযান পর্যায়ক্রমে তৃণমূলে ছড়িয়ে যাবে: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা পর্যায়ক্রমে তৃণমূলে ছড়িয়ে যাবে। অনিয়মের আবর্তে থাকা অন্যান্য খাতেও অভিযান চলবে।

বৃহস্প‌তিবার সংসদ ভবন এলাকার বাসভবন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে দলীয় সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নন। দলীয় পরিচয় দিয়ে অনিয়ম ঢাকা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মনের ভাষা বোঝেন। তার কাছে কোনো অপরাধীর ছাড় নেই।

যার যার বিবেকের কাছে নিজেকে পরিশুদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসহায় মানুষের হক নষ্ট না করে তাদের পাশে থাকতে হবে। তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, আর শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে জনগণের অধিকার আদায়ের কণ্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল দীর্ঘ ১১ মাস। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিকূলতার স্রোত মাড়ানো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের ১০ জুন কারামুক্ত হন বাঙালির আশার বাতিঘর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, পিতা মুজিবের পথ অনুসরণ করে দেশের মানুষের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত মানুষের আশার প্রদীপ শেখ হাসিনা। সেদিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে যারা রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন, রাজনীতির হাত থেকে জনমানুষের মুক্তির লড়াইকে রুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন, তারা পরের ১১ মাসে বুঝেছেন মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দি শেখ হাসিনা অনেক বেশি শক্তিশালী।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির যেকোনো সংকটে শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব ও দক্ষতার ওপর জনগণের দৃঢ় আস্থা রয়েছে। করোনার এই সংকটের আঁধার মাড়িয়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে বীরজাতি হিসেবে বঙালি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিয়ে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে আবারও গতি সঞ্চার হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই।

ধানমন্ডি কার্যালয়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক,  মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

সূত্র সমকাল