স্বাধীন বাংলা ফুটবলার তসলিম উদ্দিনের পাশে নাটোরের জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে অংশ নেওয়া নাটোরের লালপুর উপজেলার কৃতি ফুটবলার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা তসলিম উদ্দিন শেখ এর পাশে দাঁড়িয়েছেন নাটোরের জেলা প্রশসক শাহিনা খাতুন। বুধবার সকালে ফুটবলার তসলিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় তসলিম উদ্দিনের শারীরিক খোঁজখবর নিয়ে তার পাশে থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, লালপুর থানা মুক্তিযোদ্ধার ডেপুটি কমান্ডার মাজদার রহমান ও উপজেলা ক্রীড়া সম্পাদক রিমন হোসেন।

সূত্র জানায়, লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন স্বাধীন বাংলা দলের ফুটবলার তসলিম উদ্দিন শেখ। ১৯৬১সালে ঢাকা ওয়ানপার্স ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে প্রবেশ করেন তিনি। দীর্ঘ ১৬বছর বিভিন্ন ক্লাব দলের হয়ে সুনামের সাথে খেলায় অংশগ্রহন করেন। এরপর ১৯৭৭সালে ফুটবল জগৎ থেকে অবসর গ্রহন করেন তিনি।


ফুটবলার তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘জলঙ্গি সীমান্তে পৌঁছে অপেক্ষায় ছিলাম সাত নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। ওখানেই একদিন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খবরে শুনি স্বাধীন বাংলা দল গঠনের খবর। ভারতের ওই সীমান্ত এলাকার বিডি মেম্বার আমাকে পাঁচ’শ টাকা দেন আর তা নিয়ে কলকাতায় গিয়ে যোগ দিই দলে।’ ১৯৭১সালের ২৫ জুলাই থেকে শুরু হয় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলো। এরপর ১৬টি ম্যাচ মিলিয়ে যাঁর গোলসংখ্যা কাজী সালাউদ্দিনের ঠিক পরই।

তবে তসলিম উদ্দিনের গর্ব এখন ন সোনালি অতীতের সম্বল শুধু। ধূসর বর্তমানে প্রাত্যহিকতার অনটনটাই যে হয়ে উঠেছে প্রবল! সেন্ট্রাল স্টেশনারি প্রেস ক্লাবে শুরুর পর দাপটের সঙ্গে তসলিম ঢাকায় খেলেছেন ওয়ান্ডারার্স, ফায়ার সার্ভিস, দিলকুশার মতো ক্লাবে।

যুদ্ধ শেষে ব্যস্ত হয়ে গেছেন সংসার সামলানোয়। কিন্তু জীবন সেখানে তাঁর প্রতি সুবিচার করেনি। ১৯৯৫ সালের দিকে বিকেএসপিতে থেকে অবসর নেন। এখন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা হিসেবে পাওয়া ১০ হাজার টাকাই অবলম্বন তসলিমের। কিন্তু তাতে সংসারের চাকা কি আর ঘোরে! ছেলে-মেয়েরাও দেখাশোনা করে না সেভাবে। অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার পেছনে এন্তার খরচ। ‘একরকম চেয়েচিন্তেই জীবন কাটাতে হয়। দুবেলা ঠিকঠাক ভাতও জোটে না অনেক দিন।
স/শ