স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে হবে: বাদশা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সদর আসনের সংসদ সদস্য জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে আজ রাজাকারদের লড়াই, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে খন্দকার মোশতাক নামীয় বিশ্বাসঘাতকদের সাথে লড়াই। আমাদের এ লড়াইয়ে বিজয়ী হওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নগরীর আলুপ্িট্ট মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মহানগর ও জেলার মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেব তিনি এ সকল কথা বলেন।
সংসদ সদস্য বলেন, যুক্তফ্রণ্ট ও জামায়াত-বিএনপি’র ঐক্যর মধ্যে দিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে, সব মুখোশ খুলে গেছে। মুক্তিযুুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রকারী শক্তি আলাদা হয়ে গেছে। তাই আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরো বলেন, খন্দকার মোশতাক মির্জাফরের খাতায় নাম লিখিয়েছে। জামায়াত-বিএনপি’র সঙ্গে ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন তাঁর স্ত্রী হামিদা হোসেন, মেয়ে ও মেয়ে জামাই ঘাতকদের পক্ষ নিয়েছে। বর্তমানে জামায়াতের মূল আছে ডালপালা সব ঝরে পড়েছে। এখনি সময় তাদের শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। আর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আমাদের মূল লড়ায়ের শক্তি। তারা প্রচারের মাধ্যমে রাজশাহীর কোনায় কোনায় মানুষকে সচেতন করতে পারবে। এমপি বাদশা বলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো, রাজনীতিতে আমি একজন কর্মী হিসেব কাজ করতে চাই।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন বলেন, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে যেভাবে মেয়র করে এনেছি। একই ভাবে বাদশাকে ভোট যু্েদ্ধ বিজয়ী করে আনতে হবে। কারণ রাজশাহীকে একটি মডেল শহর হিসেবে পেতে হলে লিটন ও বাদশাকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা মডেল শহর হিসেবে রাজশাহীকে দেখতে চাই।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শক্তি পরাভূত হলে এ দেশ রাজাকারদের হাতে চলে যাবে। তাই ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নতুন প্রজন্ম আমাদের পথ দেখাবে আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো এবং বাদশার বিজয় ছিনিয়ে আনবো। সভা পরিচালনা করেন, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল।

সূচনা বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান।
মূল বক্তব্য রাখেন, মহিলা ইউনিটের আয়েশা ইসলাম মুন্নি। এছাড়াও জেলা ও মহানগর মহিলা ইউনিট ও স্টুডেন্ট ফ্রণ্টের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তব্য রাখেন।
স/শ