স্বাধীনতা পদক প্রদানে আত্মীয়করণ হয়েছে : ফখরুল

স্বাধীনতা পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে আত্মীয়করণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তারা হয় প্রধানমন্ত্রী না হলে মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আলোচনাসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকার স্বাধীনতার পদক যেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চালু করেছিলেন সেই পদক নিয়ে তারা দুর্নীতি করেছে।

যেখানে আমির হামজা নামে একজনকে তারা পদক দিয়েছে। পরে বাতিল করে দিয়ে তার আবার নতুন করে তারা তদন্ত করছে। শুধু তারটা কেন? আরো যাদের দিয়েছেন তাদেরটা তদন্ত করুন তারা কারা?

বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে চিকিৎসা ও সেবা কমিটির উদ্যোগে ‘স্বনির্ভর দেশ গঠনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদান’ শীর্ষক আলোচনাসভায় সাতজন প্রখ্যাত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধাকে তাদের অবদানের জন্য ক্রেস্ট প্রদান করেন।

তারা হলেন অধ্যাপক ফরিদুল হুদা, অধ্যাপক মোবিন খান, অধ্যাপক শামসুল ইসলাম, ডা. সাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক মোমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক আবদুল হক। এ ছাড়া বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আবদুস সালামকেও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের রাতেও ঘুম হয়, সকালেও ঘুম হয়। তিনি সারাক্ষণ বিএনপিকে নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখেন এবং সমানে কথা বলতে থাকেন। এখানেই বোঝা যায়, বিএনপি শুধু আছে না, বিএনপি প্রবলভাবে আছে। যারা তাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

চিকিৎসা ও সেবা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও সদস্য ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক মহাসচিব অধ্যাপক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুস সেলিম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডাবলু, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শহীদুল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ