স্বস্তির বৃষ্টিতেও বাগাতিপাড়ায় অস্বস্তি

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:

দীর্ঘ সময় ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবনে সোমবারে সামান্য বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিয়েছে। কিন্তু পুকুর খননের মাটিতে কাদামাখা পিচ্ছিল সড়কে অস্বস্তিতে পড়ে যানবাহন ও পথচারীরা।

সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে নাটোরের বাগাতিপাড়া তমালতলা-নাটোর সড়কে এ ভোগান্তি দেখা দেয়। ফলে এই পথ দিয়ে চলাচলকারিরা পড়েন বেকায়দায়।

জানা যায়, উপজেলার তমালতলা-নাটোর সড়কের পাশ দিয়ে পুকুর খনন চলছে। পুকুর খননের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তমালতলা-নাটোর সড়ক দিয়ে। পুকুর খনন এর মাটি রাস্তায় পড়ছে। সড়কটির তমালতলা মোড় থেকে জিগরী বাজার পর্যন্ত এমন দূর্ভোগের শিকার হন চলাচলকারীরা।

তবে এবিষয়ে স্থানীয়রা সতর্ক করায় অনেকে এ পথ দিয়ে না গিয়ে ঘুরে যাচ্ছে। কিন্তু এবিষয় দেখার কেউ নেই। বৃষ্টিতে জীবনে স্বস্তি আসলেও পথ দিয়ে চলাচলকারীদের দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

তমালতলার ব্যবসায়ী জামিলুর রহমান বাবু জানান, দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি না থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। বর্ষার শুরুতে সোমবারের বৃষ্টি সেই গরম ভাব দূর করায় সাধারন মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

নাটোর জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট হাসান সৈকত বলেন, উপজেলার অনেক এলাকাতেই পুকুর খনন চলছে। এ পুকুর খননের মাটি ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ কারণে পাকা রাস্তার উপরে মাটি পড়ায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় চলাচলকারি পথচারীদের জন্য বিপদজনক হয়ে পড়েছে। তিনি নিজেও এদিন বিকালে ওই সড়কে দূর্ভোগে পড়েন। এছাড়াও ওই পথে ওইদিন বেশ কয়েকটি যানবাহন দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানান। আম বহনকারী গাড়িও অল্পের জন্য উল্টে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

তমালতলা বাজারের যুবলীগ নেতা বিপু সরকার জানান, কাদা মাখা পিচ্ছিল সড়কে অনেক কষ্টে মানুষ চলাচল করছে। তমালতলা মোড় থেকে জিগরী বাজার পর্যন্ত রাস্তার যে অবস্থা চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য। মোটরসাইকেল চালকরাসহ সব ধরনের যান বাহন নিয়ে ওই সড়কে চলাচলকারীরা বিপাকে পড়েন।

এ ব্যাপারে নবাগত ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, তিনি মোবাইল ফোনে এমন অভিযোগ পেয়েছেন। তবে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। এরপরও বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান। তবে আশে-পাশে যারা পুকুর খনন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

স/জি