সমকামিতায় অতিষ্ঠ হয়ে পুঠিয়ায় শ্রমিক নেতা নুরুলকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সমকামিতায় বাধ্য করায় ক্ষোভে রাজশাহীর পুঠিয়ায় শ্রমিক নেতা নুরুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ। হত্যার সঙ্গে জড়িত ও নুরুলের লালসার শিকার জীবেন নামের এক কিশোর আদালতে এ নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ১৬ বছরের সেই সমকামী কিশোর গত সোমবার রাজশাহীর আদালতে এ জবানবন্দি দেন। একই সঙ্গে নুরুলের লালসার স্বীকার আরো তিন যুবক আদালতে তাদের নির্য
নির্যাতনের ঘটনার কথা বর্ণনা করেছেন।
এর আগে, গত ১১ জুন রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়ীয়া গ্রামস্থ এএসএস ইটভাটায় শ্রমিক নেতা মো: নূরুল ইসলামের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই পুঠিয়া থানায় মৃত নূরুলের মেয়ে বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার রাজশাহীর নির্দেশে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। এরপর পুলিশ গত ১৬ জুন পুঠিয়া উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের জিয়ারুল হকের ছেলে মো: জীবনকে (১৬) ডিবি পুলিশ পুঠিয়া থানা এলাকা হতে আটক করে। পরবর্তীতে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
জবানবন্দিতে সে উল্লেখ করে যে, মৃত নূরুল ইসলামকে তার প্রতিবেশী জীবন নানা বলে সম্বোধন করত। মৃত নূরুল ইসলাম তাকে টাকার প্রলোভন দিয়ে প্রায় সময় সমকামিতার কাজ করাত এবং এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।
গত ১০জুন রাত ৯ টার দিকে সমকামিতার উদ্দেশ্যে দুজনেই পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়ীয়া গ্রামস্থ এএসএস ইটভাটায় অবস্থান নেয়। সমকামিতার এক পর্যায়ে নূরুল হক মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় দীর্ঘ দিনের ক্ষোভে এবং সমকামিতা মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে প্রথমে নুরুলের গলা টিপে ধরে জীবন।
তারপর ইট দিয়ে মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত নুরুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে বাসায় চলে আসে জীবন।
জীবন আরো জানায়, এর আগেও নূরুল ইসলামের সমকামিতার বদ অভ্যাস ছিল এবং একই এলাকার বিভিন্নজনকে এ কাজে সে ব্যবহার করত। এ সংক্রান্তে সাক্ষী হিসাবে আদালতে আরো তিনজন জবানবন্দি প্রদান করেন। 
স/আর