স্পেনে করোনায় মৃত্যু সরকারি হিসেবের চেয়ে ৬০% বেশি

স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সরকারি যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হচ্ছে, প্রকৃত চিত্র তার চেয়েও ৬০ শতাংশ বেশি হতে পারে। রোববার দেশটির স্থানীয় দৈনিক এল পাইসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্পেনের সরকারি হিসেবে, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪৩২ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় যারা মারা গেছেন; শুধুমাত্র তাদের ঠাঁই হয়েছে করোনায় মৃত্যুর সরকারি তালিকায়। এছাড়া যারা সন্দেহভাজন কিংবা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তারা সরকারি হিসাবের বাইরে থেকেছেন।

এল পাইস বলছে, অন্যান্য দেশের মতো প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে বিস্তৃত পরিসরে পরীক্ষার অভাবে স্পেনে অনেক মানুষ শনাক্ত হওয়া ছাড়াই করোনায় মারা গেছেন; তাদের যোগ করলে প্রকৃত চিত্র সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যানের কয়েকগুণ বেশি হতে পারে।

এই ভাইরাসে এবং উপসর্গ নিয়ে সন্দেহভাজনদের মৃত্যুর আঞ্চলিক পরিসংখ্যান হিসেব করে এল পাইস বলেছে, স্পেনে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪৪ হাজার ৮৬৮ জন। যদি এই পরিসংখ্যান সঠিক হয়, তাহলে ইউরোপে যুক্তরাজ্যের পর করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড হবে স্পেনে। কিন্তু দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, করোনায় স্পেনে প্রাণ গেছে ২৮ হাজার ৪৩২ জনের।

এ ব্যাপারে জানতে স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনও সাড়া পায়নি ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এল পাইস দেশটির জাতীয় মহামারিবিষয়ক কেন্দ্র এবং জাতীয় পরিসংখ্যান কেন্দ্রের তথ্যের ভিত্তিতে করোনায় মৃত্যুর চিত্র তুলে ধরেছে। এ দুই সরকারি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের কয়েক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গড় প্রাণহানির রেকর্ড নথিভূক্ত করেছে।

গত মাসে স্পেনের জাতীয় মহামারিবিষয়ক কেন্দ্র জানায়, দেশটিতে চলতি বছরের প্রথম ২১ সপ্তাহে ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ হাজার ৯৪৫ জনের অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ গত বছর মৃত্যুর স্বাভাবিক যে পরিসংখ্যান ছিল, চলতি বছর তার চেয়ে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ বেশি মারা গেছেন।

তবে অতিরিক্ত এই মৃত্যুর সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারির সম্পর্ক আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি সরকারি এই প্রতিষ্ঠান।