স্কুল কমিটির নির্বাচন: পবায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বন্ধের নোটিশ কর্মকর্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য শিক্ষা অফিস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শিরীন মাহাবুবা। গতকাল ৩ জুলাই অনুষ্ঠিত দারুশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসের কার্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে জরম ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষকরা। জরুরী প্রয়োজন নিয়ে গেলেও দ্বার থেকে ফিরতে হয়েছে শিক্ষকদের।

জানা গেছে, দারুশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে শিক্ষা অফিসের সকল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ নির্বাচনে জন্য সহকারী প্রিজিাইডিং ও পোলিং অফিসার রাখা হয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী, হিসাবরক্ষককে। বাদ পড়েনি নিরাপত্তা প্রহরীও। এমনকি পবা শিক্ষা অফিস ছাড়াও বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালিত করা হয়। সরকারী অফিস বন্ধ রেখে এবং নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে নির্বাচনের দায়িত্ব বন্টন করা কতটা আইনসঙ্গত হতে পারে তা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে উপজেলায় কর্মরত শিক্ষকদের।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক এ নির্বাচনে দায়িত্বরতদের মধ্যে ছিলেন, প্রিজাইডিং অফিসার পবা উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার আয়েশা নাজনীন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রফিকুল ইসলাম এবং মোহনপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মনিরুল ইসলাম। এছাড়াও পোলিং অফিসার ছিলেন, পবা উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব রক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন, ল্যাব এসিষ্টেন্ট তানিয়া সারমিন, কম্পিউটার অপারেটর সম্পা রায়, নিরাপত্তা প্রহরী তৌফিক হোসেন, মইনুল হক এবং অফিস সহায়ক নাছির উদ্দিন।

যদিও সরকারী কোন নির্দেশনায় অফিস সহকারী বা নিরাপত্তা প্রহরীদের কোন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে এখতিয়ার নেই। তবে নিয়ম বর্হিভূত ভাবেই স্কুল কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে এ দায়িত্ব বন্টন করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিরীন মাহাবুবা।

সোমবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায় দরজায় কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে লেখা থাকে, “দারুশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বা নের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের সকল স্টাফ দারুশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন । বিশেষ প্রয়োজনে ০১৭১-৪৮১৪৫৭১ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো। যা মূলত শিক্ষা অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রফিকুল ইসলাম এর নম্বর। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন কালেও তাকে মুঠোফোন ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিস বন্ধ থাকায় সেখানে অপেক্ষারত অসংখ্য শিক্ষক হয়রানির মধ্যে পড়েন। জরুরী কাজে শিক্ষা অফিসে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়। শিক্ষকদের মতে, আত্মস্বার্থ হাসিলের জন্য সকল শিক্ষকদের এমন দূর্ভোগে ফেলা মোটেও ন্যায় সঙ্গত নয়। আর একটি স্কুলের নির্বাচনের জন্য শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ করা সম্পূর্ন অযৌক্তিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের বিভিন্ন কার্যাবলির সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে। কিন্তু শিক্ষকদের সকল কার্যাবালিকে অগোচরে রেখে শিক্ষা অফিস বন্ধ রাখার কোন মানে হয় না।

সরকারী অফিস বন্ধ এবং অফিস সহকারী দিয়ে নির্বাচন পরিচালনার কারন জানতে চেয়ে পবা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিরীন মাহবুবার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স/শ