স্কুলের মধ্যেই গলা কেটে হত্যা দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সাত বছরের ছোট্ট ছেলের মৃতদেহ মিলল স্কুলের শৌচাগারে। তার ঠোঁটে গাঢ় ক্ষত ছিল। পাশে পড়ে ছিল একটি রক্তাক্ত ছুরি। গুরগাঁও-এর রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৮টায় স্কুলের এক ছাত্র প্রদ্যুন্ম ঠাকুর নামের ওই সাত বছরের ছেলেটিকে শৌচাগারে পড়ে থাকতে দেখে। সে তৎক্ষণাৎ শিক্ষকদের কাছে খবর দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে ছাত্রটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ছেলের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রবল ভাবে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা-মা। তাঁদের বক্তব্য, ঘটনার পারিপার্শ্বিক থেকে পরিষ্কার যে প্রদ্যুম্নকে খুন করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা প্রদ্যুন্ম হত্যা রহস্যের দ্রুত সমাধান চান।

প্রদ্যুম্ন’র বাবা বরুণ ঠাকুর শোকে মুহ্যমান অবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, সকাল ৭.৩০টার সময়ে ছেলেকে তিনি গাড়ি করে স্কুলে পৌঁছিয়ে দেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যে কী ভাবে স্কুলের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, তা তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না বলে জানান বরুণ।

বরুণ ও আরও অনেকে মিলে এর পর স্কুলের ভেতর তুমুল ভাঙচুর চালান। তাঁদের অভিযোগ, কেন স্কুল কর্তৃপক্ষর নজরদারি আরও কড়া ছিল না!

এর পর গুরগাঁও-এর পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে এই দাবিতে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।

পুলিশ অবশ্য এরই মধ্যে জোরকদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। যার মধ্যে রয়েছে সিসিটিভি ফুটেজও। প্রদ্যুন্ম’র দেহের পাশে যে ছুরিটি পাওয়া গিয়েছে সেটি এবং ছুরির গায়ে আশপাশ থেকে সংগৃহীত নমুনা রক্ত সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দফতর।

প্রদ্যুন্ম’র দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার দেহ নিতে অস্বীকার করেছেন বরুণ ঠাকুর। ছেলের মৃত্যুশোকে বিহ্বল বরুণ চান যত দ্রুত সম্ভব। এবেলা