স্কুলের চুরি যাওয়া কম্পিউটার প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়ের বাড়িতে: জেল খাটছেন নৈশ প্রহরী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুরি হওয়া ল্যাপটাপ উদ্ধার হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে। কিন্তু তার আগ থেকেই বিনা অপরাধে জেল খাটছেন ওই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী। এমনটিই ঘটেছে রাজশাহীর মোহনপুরে।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। বিনা আপরাধে আটক হয়ে হাজত খাটছেন মোহনপুরের মহাব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী আসাম উদ্দীন।

মামলায় ও জেলা প্রশাসককে দেওয়া স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই রাতে মহাব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দোতলার ল্যাব থেকে ৪টি ল্যাপটপসহ মোট ১৭টি কম্পিউটার চুরি হয়। পরের দিন সকালে ওই স্কুলের পিয়ন আক্কেল আলী ও একই এলাকার ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী রাসেকুল ইসলাম মিলন ফ্যান মেরামত করতে করতে গিয়ে ল্যাবের তালা খোলা দেখেন। এরপর চুরির বিষয়টি প্রকাশ পায়।

তার পরের দিন শনিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আলীম শেখের মামা শ^শুর মাসুদ রানার বাড়ি থেকে হারানো চারটি ল্যাপটাপ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তার আগেই নৈশপ্রহরী আসাম উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।

এরপর চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে জেলাহাজতে পাঠায় পুলিশ। তারপর থেকে জেলহাজতেই রয়েছেন আসাম উদ্দিন।

আসাম উদ্দিনের ছেলে রুবেল আলী সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ওই বিদ্যালয়ে তার বাবার চাকরির বয়স প্রায় ৩০ বছর। কিন্তু এতোদিন পরে এসে আমার বাবার নামে চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁকে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু চরি হওয়া ল্যাপটপ প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিমের মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক আবদুল আলিম শেখ সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আগে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় নাইট গার্ডকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। মাসুদ রানা আমার মামা শ^শুর হলেও তার বিষয়ে আমি কোনো হস্তক্ষেপ করিনি।

এ বিষেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুরাদুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, মাসুদ রানা নেশাগ্রস্থ। সে এর আগেও নানা অপরাধে জেল খেটেছে।

তার বাড়ি থেকে ল্যাপটাপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে আটক করতে পারলেই প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার হবে। কিন্তু বিনা দোষে জেল খাটছেন বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আসাম উদ্দিন।

জানতে চাইলে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, মামলা এজাহারে নৈশপ্রহরীর নাম থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে।

তবে মাসুদ রানার বাড়ি থেকে চারটি ল্যাপটাপ উদ্ধার হয়েছে। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি এখনো তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলেই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী জড়িত কিনা সেটি প্রমাণ মিলবে। এর আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’

স/আর