স্কুলছাত্রীর অপহরণের নাটক, থানায় এসে আত্মসমর্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অনেক দিনের গভীর প্রেম। অবপর বাড়িতে নিজের মধ্যে বিয়ে আনাগোনা। মেয়ে শুনে তার প্রেমিকের সঙ্গে পালানো সিদ্ধান্ত নেই। একদিন তারা বাড়ি থেকে উধাও। সেই মেয়েটি পালিয়ে যাওয়া বলির পাঠা হলেন একই   ছাত্রারী গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে জনি আহম্মেদ।

বলছিলাম রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরেই সলামি একাডেমি স্কুল এ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ময়না খাতুন (১৫)। তিনি আজ সোমবার দুপুরে বাঘা থানার নিজে আসে আত্মসমর্পণ করেন।

ময়না খাতুন দীর্ঘ দেড় মাস অপহরণের নাটক করে। বাড়ির কারো সঙ্গে সে যোগাযোগ রাখে নি। সেই সুবাদে ময়না খাতুনের বাবা আকরাম হোসেন বাদি হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আসমি জনি আহম্মেদের দুলাভাই জোবায়েন হোসেন বিদ্যুতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিছুদিন পর সে জামিনে বেরিয়ে আসে।

থানায় নিজে এসে আত্মসমার্পাণ করেন।  পর উদ্ধার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

জানাযায়, ১৩ জুলাই বাঘা শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজ এলাকা থেকে উপজেলার ছাত্রারী গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে জনি আহম্মেদ অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরের দিন অপহৃতার বাবা বাদি হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জনির দুলাভাই জোবায়েন হোসেন বিদ্যুতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিছুদিন পর সে জামিনে বেরিয়ে আসে।

এদিকে, গতকাল রোববার দুপুরে বাঘা থানার পুলিশ এসআই নুরুল ইসলাম বিশেষ অভিযান চালিয়ে জনির বাবা আলা উদ্দিনকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, মেয়ে নিজে আসে আত্মসমর্পণ করেন। সোমবার উদ্ধারকৃত ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

 

স/আ