সৌরজগতে ধরা পড়ল প্রথম এলিয়েন স্পেসশিপ ‘ওমুয়ামুয়া’!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আমাদের সৌরজগতে সম্প্রতি ঘুরে গেল ‘ওমুয়ামুয়া’। হ্যাঁ, পাথরের মত দেখতে এই বিশেষ বস্তুটির নাম এমনই দেওয়া হয়েছে। প্রথমটায় গ্রহাণু মনে হলেও, পরে ওই বস্তুটির বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এক মহাকাশ বিজ্ঞানীর নামে এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওমুয়ামুয়া’।

খোদ সৌরজগতে ঢুকে পড়ে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে চলা চুরুট আকৃতির এই বস্তুটি। এলিয়েনদের পাঠানো কোনও মহাকাশযান হতে পারে বলে অনেকেই অনুমান করছেন। এই অনুমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে স্টিফেন হকিংয়ের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী হাইটেক স্ক্যানারও ব্যবহার করছেন।

প্রায় সিকি মাইল লম্বা ও ২৬০ ফুট চওড়া এই বস্তুটি ঘণ্টায় এক লক্ষ ৯৬ হাজার মাইল গতিতে ছুটে চলেছে। যদিও তা সাধারণ গ্রহাণুও হতে পারে, তবুও এর আকার-আকৃতি ও গতিবিধি দেখে বিজ্ঞানীরা একে ভিন্ন চমকপ্রদ কিছু ভাবছেন। ‘ব্রেকথ্রু লিসেন’ নামে বিজ্ঞানীদের একটি দল আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রিন উপকূল থেকে ১০ ঘণ্টা এটিকে রেডিও টেলিস্কোপে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ওই বস্তুটি থেকে তড়িৎ-চৌম্বকীয় সংকেত শোনার অপেক্ষায় আছেন। এ সংকেত যদি একটি মোবাইল ফোনের চেয়ে বেশি না হয়, তবে তারা আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবেন, ওমুয়ামুয়াকে মহাকাশের বাইরের কোনও প্রাণীই পাঠিয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে, এ বস্তুটি থেকে কোনও ধুলা নির্গত হচ্ছে না, যা আর দশটা গ্রহাণুর চলার পথে বিজ্ঞানীরা দেখে থাকেন।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক আভি লোয়েব সায়েন্টিফিক আমেরিকান জার্নালকে জানান, সম্ভবত এলিয়েনদের একটি মূল মহাকাশ যান আছে। তা থেকে তথ্যানুসন্ধানের জন্য ওমুয়ামুয়াকে সৌরজগতে পাঠানো হয়েছে। ১৯ অক্টোবর ওমুয়ামুয়াকে প্রথম মহাকাশে দেখেন বিজ্ঞানীরা। তখন এই সংক্রান্ত সম্পূর্ণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। কলকাতা 24