সোনার পথে ছুটছে রুপা

সোনার পাশাপাশি রুপার দামেও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হু হু করে দাম বেড়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড ১৮৩৫ ডলারে উঠে গেছে। সোনার এত দাম ২০১১ সালের পর আর দেখা যায়নি।

এদিকে সোনার সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রুপার দামও। আন্তর্জাতিক বাজারে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে রুপার দাম। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য সোনা কিনে মজুদ করায় চলতি বছরের শুরু থেকেই দাম বাড়ছে।

আর চীন ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় চলতি সপ্তাহে সোনার দাম বাড়ার পালে নতুন করে হাওয়া লেগেছে। রুপার দামেও পড়েছে তার প্রভাব।

মঙ্গলবার প্রতি আউন্স ১৮১৮ ডলার নিয়ে লেনদেন শুরু করা সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ইতোমধ্যে ১৮৩৯ দশমিক ৫০ ডলারে উঠে গেছে। এতে দিনের লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৫ ডলার।

কয়েক মাস ধরে সোনার দাম বাড়লেও সম্প্রতি একদিনে সোনার দাম এত বাড়েনি। সোনার দামে একদিনে এমন বড় উত্থান হওয়ায় ২০১১ সালের পর প্রথমবার প্রতি আউন্স সোনার দাম ১৮৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেল।

এতে একদিনে সোনার দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর সপ্তাহের ব্যবধানে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ দাম বেড়েছে। বছরের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ২৯ দশমিক ১১ শতাংশ।

এদিকে সোনার পাশাপাশি দাম বেড়েছে রুপার। মঙ্গলবার প্রতি আউন্স রুপার দাম ১ দশমিক ২১ ডলার বেড়ে ২১ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে। এর মাধ্যমে ২০১৪ সালের জুলাইয়ের পর রুপার দাম ২০ ডলার ছাড়িয়ে গেল।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর পরই সোনার দাম বাড়লেও বিপরীত চিত্র ছিল রুপার। বছরের শুরুতে প্রতি আউন্স ১৮ ডলারে বিক্রি হওয়া রুপা মার্চে ১২ ডলারে নেমে আসে।

তবে এরপরেই বাড়তে থাকে রুপার দাম। জুনের শুরুতে প্রতি আউন্স রুপার দাম আবার ১৮ ডলারে উঠে আসে। এরপর থেকে ১৭ থেকে ১৮ ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল রুপার দাম।

কিন্তু গত দুই দিনে সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবারই রুপার দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ দাম বেড়েছে। আর বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ২৯ দশমিক ১০ শতাংশ।