সোনামসজিদ বন্দরে ব্যাংকের এনওসি জালিয়াতি করে পণ্য ছাড়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জে:
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড রাজশাহী শাখার এন.ও.সি (NOC) জালিয়াতি করে সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে পন্য ছাড় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে আর.পি এন্টারপ্রাইজ রাজশাহী, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড রাজশাহী শাখা থাকে ভারত থেকে শুকনো মরিচ আমদানীর জন্য এল.সি খুলেন। এই এল.সি মোতাবেক গত ২৯ মার্চ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রায় ৪৫ মে.টন শুকনো মরিচ আমদানী হয়। ওইদিনই ব্যাংকের এন.ও.সি পাওয়ার পর কাস্টমস এর রাজস্ব পরিশোধ করে পন্য ছাড় করে। আকন্দ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর শামসুল আকন্দ বলে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়। গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তারিখে ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী শাখায় ৮১ হাজার ৯০০ ইউ.এস ডলার(সাতষট্টি লাখ সাতানব্বই হাজার সাত শত টাকার) এল.সি খোলেন। যাহার নং ০৮৭৯১৮০১০৩১১১ তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮। এল সির সাথে যে মোবাইল নম্বরটি ছিল তার নম্বর ০১৭৯৫১৮৮৯৬৯। পন্য ছাড়ের বিল অব এন্টি নম্বর- ৫০০০ তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৮।

পন্য ছাড়ের ১৪ দিন পর বুধবার ইসলামী ব্যাংক রাজশাহীর বৈদেশিক শাখা থেকে আইনাল হক নামে একজন কর্মকর্তা সোনামসজিদ স্থল বন্দরে এসে এল.সিকৃত পন্য আমদানী হয়েছে কিনা জানতে এসে এন.ও.সি’র জালিয়াতির তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী শাখার ম্যানেজার নূরুল কবির এর সাথে ০১৭১১৮৮৯৯২৬ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আর.পি এন্টারপ্রাইজের আমদানীকৃত পন্যের ব্যাপারে কোন এন.ও.সি দেয়া হয়নি। এমনকি ঐ এন.ও.সিতে আইনাল হকের যে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে তাও সঠিক নয়। এই নম্বরে ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী শাখার কোন মোবাইল নম্বর নেই।

এই পন্য ছাড়ের ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার সোলাইমান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এন.ও.সি জালিয়াতি করে পন্য ছাড় করার কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, পন্য ছাড়কারী সি.এন্ড.এফ এজেন্ট কাস্টমস এর রাজস্ব পরিশোধ করে পন্য ছাড় করেছেন। এই বিষয়টি ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সি.এন্ড এফ এজেন্ট আকন্দ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর শামসুল আকন্দের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে রাজস্ব পরিশোধ করে তিনি পন্য ছাড় করেছেন। তবে এন.ও.সির ব্যাপারে তিনি কিছু বলেনি।

স/অ