সোনামসজিদ বন্দরে চলতি অর্থ বছরের ৫ মাসেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২শ ৪ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার টাকা। কিন্তু রাজস্ব আয় হয়েছে ১শ ৪৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৫৮ কোটি ২৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে।

কিন্তু গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসে রাজস্ব আয়ের চেয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসে ৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা রাজস্ব আয় বেশি হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে। চলতি অর্থ বছরে ৫ মাসে রাজস্ব আয় কম হওয়ার কারণে জানতে চাইলে সোনামসজিদ কাস্টমস, আমদানি রপ্তানীকারক গ্রুপ সিএন্ডএফ এজেন্ট, শ্রমিক সমন্বয় ও পানামার নেতারা একবাক্যে জানান, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে। যে কারণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে অর্থ বছরে প্রথম থেকেই আমদানী রপ্তানী কম হওয়ার কারনে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে অক্টোবর মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৭ কোটি ৬২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বেশি আদায় হয়েছিলো। অক্টোবর মাসে লক্ষ মাত্রা ছিলো ৩৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৫ কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার। সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সোনামসজিদে আমদানীকৃত পণ্যে শতভাগ রাজস্ব আদায় করার কারণে অক্টোবর মাসে রাজস্ব আয় বেশি হয়েছে।

সহকারি কমিশনার মমিনুল ইসলাম জানান, চলতি মাসে রাজস্ব আয় আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। ফল আমদানী কারকেরা অন্যবন্দর দিয়ে ফল আমদানী না করে সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে পন্য আমদানী করলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। সকল স্থলবন্দরগুলিতে সরকারের একই নিয়মে রাজস্ব আদায় করা হলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সব চেয়ে পণ্য আমদানী হবে এবং রাজস্ব আয়ও লক্ষ্য মাত্রা চেয়ে অনেক গুণ বেশি হবে বলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানী রপ্তানী গ্রুপের সাধারন সম্পাদক তোফিকুল ইসলাম বাবু ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাশোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রুহুল আমীন জানান।

তারা আরও জানান কোন কোন বন্দরে সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ার কারণে কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা ঐ সব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানী করেছে।

স/রি