রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি দখলমুক্তের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি। এই দীঘিটিকে যে যার মতো দখল করে মরা পুকুরে পরিণত করেছে। সোনাদীঘিটি কেউ আবার দখল করে নির্মাণ করছে বিভিন্ন স্থাপনা। আবার কেউ দখলের জন্য দীঘির বেশকিছু অংশ ভরাটও করে ফেলেছে।

এই ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি রক্ষার দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোনাদীঘি মোড় মনিচত্বর এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সোনাদীঘি রক্ষার দাবিতে এক মাসের সময় বেধে দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও রাজশাহী নগরিক সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শামসুদ্দিন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, শিক্ষক নেতা শফিকুর রহমান বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রায়, রেস্তরা মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খান, জনউদ্যোগের ফেলো জুলফিকার আহমেদ গোলাপ, সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী, পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুকু, সাংস্কৃতিক কর্মী মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।

এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তরা মানববন্ধন থেকে সোনাদীঘি ও ভুবনমোহন পার্ক রক্ষার দাবিতে ১০টি দাবি জানিয়ে বলেন, রাজশাহী মহানগরীর কিছু ঐতিহ্যবাহীর মধ্যে সোনাদীঘি ও ভুবনমোহন পার্ক। এই স্থাপনাগুলো দীর্ঘদিন ধরে দখল হয়ে আছে। এগুলো দক্ষলমুক্ত করে রাজশাহীর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মানববন্ধনে এমন দাবি করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন নগর আওয়ামী লীগর সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সোনাদীঘি সংস্কার করে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। সোনাদীঘিকে ঘিরে অত্যাধুনিক কিছু পরিকল্পনা ঘোষণা করে নগরবাসীকে স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, বাগমারা আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের প্রতিষ্ঠান এনা প্রোপার্টিজ সিটি সেন্টারের নির্মাণকাজ করতে গিয়ে প্রথমে সোনাদীঘির পশ্চিমপাড়ের কিছু অংশ কৌশলে ভরাট করেন। এরপর তারা সেখানে বাঁশের খুঁটি ও বেড়া দিয়ে দীঘির ভেতরের অংশ বেঁধে বালু ফেলা শুরু করে। তখন দূর থেকে বেড়াটি দেখলে মনে হতো সোনাদীঘিকে রক্ষা করতেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন সেই বালুর ওপরই ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিং করে পিলার বসানো হয়েছে।

অন্যদিকে, এনা প্রোপার্টিজ সিটি সেন্টারের দক্ষল করা জায়গা পরিদর্শণ করে মানববন্ধনে উপস্থিত থাকা নেতৃবৃন্দরা। এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সাংবিাদিকদের বলেন, রাসিক আগামী এক মাসের মধ্যে সোনাদিঘী দক্ষলমুক্ত না করলে তারাই (মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা) এ সোনাদীঘি রক্ষার জন্য মাঠে নামবে।

 

স/আ