সৈকতে ভেসে এলো ১৪৫ মৃত তিমি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিউজিল্যান্ডে ম্যাসন উপসাগরের তীরে আটকে পড়ে ১৪৫ তিমির মৃত্যু হয়েছে। উপকূলের রকিউরা থেকে স্টুয়ার্ট দ্বীপের সমুদ্রসৈকতের ৩০ কিলোমিটারজুড়ে তিমির মরদেহগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। শনিবার রাতে জনমানবশূন্য এই উপকূলে তিমিগুলোকে প্রথম দেখতে পান স্থানীয় এক বাসিন্দা।

নিউজিল্যান্ডে ‘তিমি মরা’ এটাই প্রথম নয়। এক দশকে প্রায় প্রতিবছরই দেশটিতে তিমিকুলের গণমৃত্যু ঘটছে। তবে ঠিক কী কারণে বিপুল সংখ্যক তিমি ও ডলফিন মারা যাচ্ছে, তা এখনও অজানা। ধারণা করা হয়, অসুস্থতার পাশাপাশি জোয়ার কিংবা শিকারির ধাওয়া খেয়ে সৈকতে এসে মারা যায় তিমিগুলো। খবর বিবিসির।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটকে পড়া তিমিগুলো পাইলট জাতের। সেগুলো যখন নজরে আসে, তখন প্রায় অর্ধেকই মৃত অবস্থায় ছিল। বাকি অর্ধেকেরও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল খুবই ক্ষীণ। এলাকাটি জনমানবশূন্য হওয়ায় সেগুলোকে সফলভাবে সাগরে পাঠানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।

নিউজিল্যান্ডের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগ বলছে, ওই সাগরের অর্ধেকেরও বেশি তিমি ইতিমধ্যে মারা গেছে। মারা যাচ্ছে ডলফিনও। এখনও যেগুলো বেঁচে আছে, এই ঘটনার জেরে তাদেরও বাঁচানো বেশ মুশকিল হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের আঞ্চলিক কর্মকর্তা রেন লেপেনস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘একসঙ্গে এত তিমির মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। দ্বীপটি খুব দূরে হওয়ায় সেখানে কোনো কর্মকর্তা না থাকায় দিন দিন তিমির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।’

পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। প্রতিবছর নানা কারণে গড়ে ৮৫টি তিমির মৃত্যু হয় এ অঞ্চলে। সপ্তাহজুড়ে আরও ১২টি ছোট তিমি মারা গেছে। তবে একসঙ্গে এত তিমির মৃত্যুর ঘটনা বিরল নয়। এর আগে ২০১৭ সালে ফেব্র“য়ারির প্রথম সপ্তাহে মৃত্যু হয় তিন শতাধিক তিমির।

সাউথ আইল্যান্ডের গোল্ডেন বে সৈকতের তীরে ৪১৬টি তিমি দেখতে পান প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের (ডিওসি) কর্মকর্তারা।

এলাকাবাসীর সহায়তায় শতাধিক তিমিকে জীবিত উদ্ধার করে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিতে সক্ষম হন তারা। ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর মারা যায় ৩৬টি তিমি। সেবার ২১টি তিমিকে জীবিত উদ্ধার করে সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়। প্লেনটি উপসাগরের ওহিও বন্দরের উপকূলে এসে আটকা পড়ে ওই তিমিগুলো।