সেই গৌরিকা রিওর সর্বকনিষ্ঠ অলিম্পিয়ান

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক :

গত বছর ভয়ংকর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে ধসে পড়েছিল নেপালের অনেক ভবন, মারা গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি মানুষ। সৌভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে গিয়েছিল গৌরিকা সিং।

সেই গৌরিকাই এবারের রিও অলিম্পিকের সবচেয়ে কম বয়সি খেলোয়াড়। আগামী রোববার যখন মেয়েদের ১০০ মিটার হিটে অংশ নিতে পুলে নামবে নেপালি এই সাঁতারু, তার বয়স হবে ১৩ বছর ২৫৫ দিন।

১৩ বছর বয়সটা কোনো খেলোয়াড়ের ভবিষ্যতে বড় মঞ্চে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখার বয়স। সেখানে গৌরিকা এই বয়সে অলিম্পিকে সাঁতারের পুলে নামবে। পুরো ব্যাপারটাই স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে গৌরিকার, ‘অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন নিয়েই সাঁতারু হয়েছি। বয়স এত কম যে রিওতেই সৌভাগ্যটা হবে ভাবিনি। আশা করছি নিজের সেরাটা দেব অলিম্পিকে।’

গৌরিকার জন্ম নেপালে হলেও ডাক্তার বাবার হাত ধরে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিল দুই বছর বয়সে। সেই থেকে ইংল্যান্ডেই থাকা। গত বছরের এপ্রিলে সে নেপালে এসেছিল জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের সেই দিনটা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে ওঠে গৌরিকার,  ‘বিভীষিকাময় ছিল দিনটা।

নতুন একটা ভবনের পাঁচ তলায় ছিলাম আমরা। ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝতে পেরে ১০ মিনিট লুকিয়ে ছিলাম টেবিলের নিচে। সেখান থেকেই দেখেছি পাশের কয়েকটা ভবন ভেঙে পড়তে। মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকছিলাম শুধু। বেঁচে যাওয়ায় সত্যিই ভাগ্যবান মনে হয় নিজেকে।’

এ বছরই প্রথম আন্তর্জাতিক গেমসে পদক জেতার স্বাদ পেয়েছে গৌরিকা। ফেব্রুয়ারিতে ভারতের গোয়াহাটিতে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সে রুপা জিতেছে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে। ব্রোঞ্জ পেয়েছে ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক এবং ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। তবে অলিম্পিকের মতো বড় আসরে চাপটা থাকবে বিশাল।

তাই এটাকে অভিজ্ঞতা অর্জনের টুর্নামেন্ট হিসেবেই ভাবছে গৌরিকা,  ‘বিশ্বের সেরা সাঁতারুরা খেলবেন অলিম্পিকে। তাদের কাছে শেখার আছে অনেক কিছু। আমি আসলে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই যাচ্ছি অলিম্পিকে।’

 

সূত্র: রাইজিংবিডি