সুযোগ থাকলেও ডিজিটাল তথ্য সেবা পাচ্ছেন না রাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ওয়েবসাইটের হোমপেজের উপরেই লেখা রয়েছে ‘গভরন্যান্স’। সেখানে ঢুকতেই ‘অ্যাকডেমিক কাউন্সিল’, ‘সিনেট’, ‘সিন্ডিকেট’ লেখা চোখে পড়ে। একটি পেইজে ক্লিক করতেই স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘দিজ পেইজ ইজ আন্ডার কন্সট্রাকশন’।

নতুন এই ওয়েবসাইটটি চালুর আটমাস পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়মিত আপলোড বা আপডেট হচ্ছে না। ফলে ডিজিটাল তথ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাব ও ওয়েবসাইট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কম্পিউটার সেন্টারের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের শেষের দিকে পুরোনো ওয়েরসাইটের বদলে নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত যাবতীয় কোন তথ্য এই ওয়েবসাইট থেকে জানার সুযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সেটা পাওয়া যায় না। সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের তালিকা, ডেইলি ইভেন্ট সম্পর্কিত তথ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা-ব্যক্তিদের পরিচিতি, বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও হল সম্পর্কিত আপডেট কোন তথ্যই ওয়েবসাইটটিতে নেই।

এ ছাড়াও অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপডেট করা হয় না।

ওয়েবসাইটটিতে পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় কী কী সমস্যা হচ্ছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সেমিনার, আলোচনা সভা, বিভিন্ন চুক্তি, দেশ-বিদেশে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে বৈঠকসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। অথচ ওয়েবসাইটে এর তেমন কোন প্রতিফলন দেখা যায় না। ওয়েবসাইটে আপডেটকৃত অধিকাংশ বিজ্ঞপ্তিই সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোর্সের।

ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, হাতে গোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্তা-ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, নাম, ছবিসহ বিস্তারিত থাকলেও অধিকাংশ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের ছবি নেই। নেই মোবাইল নম্বর কিংবা ইমেইল আইডি। অধিকাংশ অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের পরিচিতিও দেওয়া নেই।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাত্র দুইটি ইনস্টিটিউট ছাড়া অন্য ইনস্টিটিউটগুলার কোন তথ্যই সেখানে নেই। পাশাপাশি ওয়েবসাইটটিতে কনটাক্ট, টিএসসি, পাবলিকেশন, স্টুডেন্ট, টেন্ডার নোটিশ, অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, প্রজেক্টসহ বেশকিছু পেইজের নাম থাকলেও বিস্তারিত কোন তথ্য দেওয়া নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১০টি অফিসের ডাটা এন্ট্রি করা আইসিটি সেন্টারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রতিটি বিভাগ ও অফিসকে ডাটা এন্ট্রির জন্য পাসওয়ার্ড দেওয়া রয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে ইতোমধ্যে দুইবার চিঠি দিয়েছি। এখন কেউ যদি নিজের ডাটা এন্ট্রি না করে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।’

স/বি