সুপ্রিম কোর্ট অভিভাবকের ভূমিকা রেখেছেন : মির্জা ফখরুল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি চেয়ে যুবদল আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।

চলতি বছরের ৩ জুলাই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

‘সুপ্রিম কোর্ট সঠিকভাবেই উপলব্ধি করেছেন যে, তাদের এখন দায়িত্ব এসে পড়েতেছে। রাষ্ট্র যখন রসাতলে যাচ্ছে, ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন তাদের দায়িত্ব এসে পড়েছে, সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে তাদের মুখ খুলতে হবে’, বলেন ফখরুল।

‘তাঁরা মুখ খুলেছেন এবং তাঁরা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে, ষোড়শ সংশোধনী কোনোমতেই গ্রহণ করা যেতে পারে না। কারণ তা সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যে সরকার বিশেষ করে এই রায়ের পর্যবেক্ষণের পর এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই এই ক্ষমতায় বসে থাকার’, যোগ করেন ফখরুল।

গত ১ আগস্ট ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ সাত বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৭৯৯ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। সব বিচারপতির সর্বসম্মত রায়ে ‘রাজনীতিতে ব্যক্তিবাদ’, সামরিক শাসন, ‘অপরিপক্ব সংসদ’, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেন।

পূর্ণাঙ্গ রায়কে বিএনপি স্বাগত জানালেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নানা সমালোচনা করা হচ্ছে। রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। রায়ের বিষয়ে নিজেদের আপত্তির বিষয়গুলো জানাতে তিনদিনের কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরাও।

দুই দলের এমন অবস্থানের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি বলেছেন, দুই দলের কারো ফাঁদেই তিনি পা দেবেন না।

সূত্র: এনটিভি