সুন্দর মাঠটিই হয়ে উঠতে পারে ভয়ংকর!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

পরশু শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হওয়া প্রথম ওয়ানডের ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভাল। মাঠের ছবিটা যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা। তবে মাশরাফি-সাকিবদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে অপূর্ব এই মাঠটিই।

ক্রাইস্টচার্চের মাঠে ক্রিকেট হয় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। তবে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদা পেতে একটু দেরিই হয়ে গেছে হেগলি ওভালের। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখে ভেন্যুটি। বাংলাদেশ সিরিজের আগে মাত্র আটটি ওয়ানডে খেলা হয়েছে এ মাঠে। প্রত্যাশামতো পেসাররাই কলকাঠি নেড়েছেন অধিকাংশ ম্যাচে।

এ মাঠের প্রথম ইনিংসটি কিন্তু ছিল আশা জাগানিয়া। কানাডার বিপক্ষে ৩৪১ রান তুলেছিল স্কটল্যান্ড। জবাবে ১৭১ রানে অলআউট হয়ে কানাডা অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছিল, অতটা সোজা নয় এই মাঠে রান তোলা। এখানেই গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩১০ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেটি যে পাকিস্তানি বোলারদের ব্যর্থতা, তা বুঝিয়ে দিতে দেরি করেননি ক্যারিবীয় বোলাররা। পেস ও বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে ১ রানেই পাকিস্তানের ৪ উইকেট ফেলে দিয়েছিল তাঁরা।

এ তো গেল এ মাঠে অন্য দল গুলোর তথ্য। দেখা যাক, স্বাগতিক দল এ মাঠে কেমন করেছে? এ মাঠে চারটি ওয়ানডে খেলেছে নিউজিল্যান্ড, সব কটিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে! প্রতিটি ম্যাচেই বিজয়ী দল নিউজিল্যান্ড। এক ম্যাচের জয় আগেরটার চেয়েও দাপুটে। ২০১৫ সালে জানুয়ারিতে প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেটের জয়, ৭ ওভার বাকি থাকতে। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের ম্যাচে ৯৮ রানের জয়, শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছিল ৪৬.১ ওভারে।

সে বছরের শেষ দিকের ওয়ানডে দুটিতে এতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ২৬ ডিসেম্বর প্রথম ম্যাচে ২৭ রানে ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ৪৭ ওভারে। সপ্তম উইকেটে ৯৮ রানের জুটিতে ১৮৮ রান করে সফরকারীরা। নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি জেতে ১৭৪ বল হাতে রেখে, ৭ উইকেটে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরও ভয়ংকর কিউইরা, শ্রীলঙ্কাকে ১১৭ রানে অলআউট করে ৮.২ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দিল নিউজিল্যান্ড!

এ চার ওয়ানডেতে ৩৩ উইকেট পেয়েছেন কিউই পেসাররা। স্পিনারদের কপালে জুটেছে মাত্র ৪ উইকেট। বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির বিষয়, এ মাঠের সবচেয়ে সফল বোলার মিচেল ম্যাকলেনাহান এবার দলে নেই। ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট তাঁর। তবে দুই ম্যাচে ৮ উইকেট পাওয়া ফাস্ট বোলার ম্যাট হেনরি ঠিকই আছেন। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি আর লকি ফার্গুসনরা তো তেতেই আছেন!

পরশু হেগলি ওভালে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বড় এক পরীক্ষাই নেবেন কিউই পেসাররা। তামিম, মুশফিকরা তৈরি তো?

সূত্র : প্রথম আলো