সুনির্দিষ্ট ‘রেফারেন্স’ ছাড়া প্রতিবেদন নয়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ‘রেফারেন্স’ ছাড়া কোনো ধরনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
একই সঙ্গে প্রতিবেদন তৈরিতে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক হাসনাত করিম ও তাহমিদ হাসিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে তারা যে তথ্য দিয়েছেন তা যাচাই-বাছাই চলছে। ’
হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় অস্ত্রের জোগানদাতাসহ অনেককেই প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।’

 
মনিরুল বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া প্রকৌশলী হাসনাত রেজা করিম ও কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত কি না, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই পুরো ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রিমান্ডে যে তথ্য পাওয়া গেছে সে সব বিষয়ে এখনো কিছু বলার সময় আসেনি। এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি তা তদন্তের স্বার্থে বলা সম্ভব হচ্ছে না। পরিপূর্ণ রিপোর্ট এলেই তা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’

 

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, ‘হাসনাত রেজা করিম ও তাহমিদ হাসিব খানের দুটি ছবি নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকা কথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। কিন্তু এখানে তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া হয়নি।’
তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ হামলায় তাঁদের সম্পৃক্ততা আছে কি না, সেটি বলা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলাকালে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা ঠিক নয়। এ ধরনের কথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে তদন্তকারীদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।’
সাংবাদিকদের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ জানাচ্ছি, এ ধরনের প্রতিবেদন যেন কেউ প্রকাশ না করেন। আর কারো কাছে যদি এক্সক্লুসিভ কোনো ছবি বা তথ্য থাকে তারা যেন সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কোন ছবি প্রকাশ করবেন না যাতে করে তদন্তে ব্যঘাত ঘটতে পারে। যদি কোন প্রমাণ থাকে তাহলে তা আমাদের কাছে সরবরাহ করুন।’

সূত্র: রাইজিংবিডি