সুখের হাসি হাসা হলো না মালয়েশিয়া প্রবাসী আলমের

বাঘা প্রতিনিধি:

২০ দিন আগে দেশের গন্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন আলম হোসেন নামের এক যুবক। পরিবারের সবার মুখে সুখের হাসি ফোটাবেন বলে আশা ছিল তার। কিন্তু এক মাস পার না হতেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। স্ত্রী ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া একমাত্র কন্যা ইলমাকে রেখে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলেন আলম। অকালে চলে যাওয়ায শোক সইতে না পেরে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মা সাহারা, স্ত্রী বিউটি খাতুন ও কন্যা ইলমা। পরিবারের শোকের মাতম সইতে না পেরে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশিরা। তার বাড়িতে সুখের আনন্দ এখন স্লান করে তুলেছে শোক।

বছর খানেক আগে মারা গেছেন আলমের বাবা আমির উদ্দীন। ৩ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন আলম।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালোয়েশিয়ায় কর্মস্থল এলাকায় মারা যান আলম। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে শাহজালাল বিমান বন্দরে আলমের মরদেহ পৌঁছে। পরে দুপুরে গ্রামের বাড়িতে আনা হয় তার লাশ। পরে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রমিকের কাজে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন আলম।

উপজেলার মনিহারপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পরিবার ও প্রতিবেশির আহাজারি। কন্যা ইলমার কন্ঠে বার বার একটি কথাই উচ্চারিত হচ্ছিল আমাকে লেখা পড়া করাবে কে?

ইলমার মামা বাবু আহম্মেদ জানান, তার সহকর্মী চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে মুঠোফোনে তার মৃত্যুর খবর জানা যায়।

স/শা