সীসাযুক্ত পণ্য ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে এসিডির মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘সীসাযুক্ত রঙ ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন এবং সীসাযুক্ত রং নিষিদ্ধ করুন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইন্টারন্যাশনাল লীড পয়জনিং প্রিভেনশন সপ্তাহ-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজশাহীতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোবাবার সকালে রাজশাহীর এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) আয়োজনে এবং আইপেন এর সহযোগিতায় সভাটি অনু্ষ্ঠিত হয়।

এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালীমা সরোয়ার’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই এর উর্ধ্বতন পরীক্ষক সুবোধ চন্দ্র।

প্রধান অতিথি তার বক্তেব্য বলেন, “উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশে দূষণ হবে তাই বলে আমরা উন্নয়ন বন্ধ করব এমনটি নয়, উন্নয়ন করব পাশাপাশি পরিবেশকেও দূষণমুক্ত রাখব। সীসা অত্যন্ত ক্ষতিকর মৌল এর খরাপ প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরী করতে হবে।”

এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালীমা সরোয়ার বলেন, “এসিডি অনেকদিন ধরেই পরিবেশ আন্দোলনের সাথে যুক্ত। পরিবেশের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টাকে আমরা যতটা গুরুত্ব দিয়ে থাকি এরকম আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলোকে আমরা গুরুত্ব দিই না। দিন দিন সীসাযুক্ত রঙের ব্যবহার বেড়েই চলেছে এবং যদি এর ব্যবহার রোধ করতে না পারি তাহলে জনস্বাস্থ্য বিশেষ করে শিশুরা মারাত্বক হুমকির সম্মুখীন হবে।”

বিশেষ অতিথি সুবোধ চন্দ্র বলেন, বিএসটিআই ১৯৪ টি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যার মধ্যে রঙের বিষয়টি আগে ছিল না। আশার কথা হল ২০১৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর সরকার রঙের বিষয়টি বিএসটিআই এর মাননিয়ন্ত্রণের তালিকায় নিয়ে এসেছে। কাজেই রঙে সীসা ব্যবহারের বিষয়টিও এখন থেকে তদারকি করা হবে। ধরমপুর জিপিএস স্কুলের শিক্ষিকা জয়ন্তি রাণী বলেন, এবিষয়ে সরকারকে নীতিমালা তৈরী করতে হবে এবং সকল পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় এসিডি’র কর্মীবৃন্দ সহ শিক্ষক, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহন করেন।

স/অ