শনিবার , ৭ নভেম্বর ২০২০ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সিল্কসিটি নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্ধীদের পাশে চেয়ারমান মেরাজ

Paris
নভেম্বর ৭, ২০২০ ১:৫২ অপরাহ্ণ

আমানুল হক আমান, বাঘা


২৮ অক্টোবর সিল্কসিটি নিউজ অনলাইন সংস্করণে রাজশাহীর বাঘায় একই পরিবারের তিন সন্তান প্রতিবন্ধী শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর পাশে দাঁয়িছেন পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের তুরুন চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সরকার। শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে প্রতিবন্ধীর বাড়িতে গিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সার্বিক সহযোগিতায় তিনি প্রতিবন্ধীদের মাঝে দুটি হুইল চেয়ার দিয়ে সহায়তা প্রদান করেন।

জানা যায়, বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দিয়ারপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ৩৫ বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক-এক করে ৩টি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তিনটিই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাদের মধ্যে কেউ উঠে দাঁড়াতে পারে না। তবে অর্থের বিনিময়ে মেজো সন্তান মিলন প্রামাণিকের চিকিৎসা করাতে না পেরে কয়েক বছর আগে মারা যায়। বড় সন্তান লিটন প্রামাণিক (৩০) ও ছোট সন্তান মেহেদি হাসান রাফি (১২) মৃত্যুর প্রহর গুনছে। একই পরিবারের তিনটি শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম নেয়ায় সমাজে তারা অন্যান্য ছেলে-মেয়ের মতো চলতে পারে না, মিশতে পারে না। সব সময় বাড়িতে থেকে সময় কাটাতে হয় তাদের।

সংসারের ৪ জনের মুখে অন্ন তুলে দিতে অসহায় বাবাকে মাঠে কৃষিকাজ করতে হয়। মাঠে কৃষিকাজ করে পরিবারে দুই বেলা দু-মুঠো ভাত দেয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিবন্ধীর বাবা আবদুর রাজ্জাকের।

তবে চাষাবাদের জন্য বিঘে দুয়েক জমি আছে। ৫ কাটা জমির ওপর বাড়ি। এ বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী ও বর্তমানে দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন। একই পরিবারের ৩ জন প্রতিবন্ধী মানুষ থাকার পরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অসচেতনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সরকার থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি তারা।
অবশেষে দুই মাস আগে রাজশাহী বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক মো. সারোয়ার জাহান শাহিনের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেন।

প্রতিবন্ধীদের মা মিরা বেগম জানান, একটি স্বাভাবিক সন্তান মানুষ করতে খুব কষ্ট করতে হয়। কিন্তু পরপর তিনটি প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণায় ভুগেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার ছেলের কোন হুইল চেয়ার ছিলনা। চেয়ারম্যান সাবে আমার পাশে দাঁড়ানোর কারনে খুব ভাল লাগছে।

প্রতিবন্ধীর বাবা আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাদের সাথে কেউ মিশতে চায় না। বাড়ির বাইরে তো যেতেও পারে না। প্রতিবন্ধী হিসেবে জন্ম নিলেও প্রতিটি সন্তানকেই বাবার মমতা দিয়ে ভালোবাসি। এদিকে তিনি দাবি করেন, বিনা সুদে কোন ব্যাংক সহায়তা করলে প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে কোন একটি দোকান দিয়ে বাকিটা জীবন ভালোভাবে কাটাতে পারতাম।

এদিকে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের তুরুন চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচন হওয়ার পর থেকে দরিদ্র মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার দিয়ে সহায়তা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান নাইম, আড়ানী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক উদ্দিন, বাঘা উপজেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি আমানুল হক আমান প্রমুখ।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর