দুর্গাপুরে স্ত্রীকে হত্যার সন্দেহে  স্বামী ও সতীন আটক

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুরে স্ত্রীকে হত্যার সন্দেহে স্বামী ও সতীনকে আটক করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি রবিবার (২৪ জানুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার শ্রীধরপুর আংরার বিল এলাকায় ঘটে।
রবিবার সকাল ৯টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্বামী আব্দুল লতিফ (৫০) ও আব্দুল লতিফের চতুর্থ স্ত্রী মৃতের সতীন আসমা (৩২) কে পরিকল্পিত হত্যার সন্দেহে আটক করে থানায় নিয়ে আসে ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলার শ্রীধরপুর আংরার বিল এলাকায় বাবু নামের এক ব্যাক্তির পুকুর পাহারাদারের কাজ করতো নাটোর জেলার আহম্মদপুর এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লা। পুকুর পাহারার দেওয়ার সুবাদে পুকুরের পাড়েই একটি খুপড়ি ঘর তুলে সেখানে তৃতীয় স্ত্রী সাগরী বেগম (৩৫) কে নিয়ে বসবাস করতো।
এলাকাবাসী ও মৃতের ভাই আসলাম শেখ জানায়, প্রায়ই সময় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। আব্দুল লতিফ ২মাস পূর্বে নারায়ানপুরের বারীর কন্যা আসমা (৩২)কে গোপনে বিয়ে করে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে বিষয়টি জানাজানি হলে তৃতীয় স্ত্রী সাগরী বেগম স্বামী আবার বিয়ের করার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে স্বামীকে গালিগালাজ করতে থাকে।
এ নিয়ে গত ২২ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে স্বামী আব্দুল লতিফকে তার অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করায় আদালতে মামলা করবে বলে হুমকি দেয় সাগরী বেগম।
বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী সাগরী বেগম আর যেন বাড়াবাড়ি না করতে পারে  সে জন্য চতুর্থ স্ত্রী আসমার সাথে পরিকল্পনা করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় মৃত সাগরীর ভাই আসলাম শেখ।
মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী জানান, পারিবারিক  কলহের জের ধরে স্বামী লতিফ তার স্ত্রী ও মৃতের সতীন আসমাসাথে যোগসাজশ করে শাস্বরুদ্ধ করে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/জে