সিরাজগঞ্জে নদী থেকে উদ্ধারকৃত বস্তাবন্দী ৩ লাশের পরিচয় মিলেছে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর উপজেলায় যমুনা নদী থেকে উদ্ধারকৃত বস্তাবন্দী ৩ লাশের পরিচয় মিলেছে। উদ্ধারকৃতদের বাড়ি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামে। ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রোববার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তারা।পরদিন ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

  • নিহতরা হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামের ব্যবসায়ী বাদল মণ্ডলের স্ত্রী নাসরিন মণ্ডল (৩০), হাদিকুলের স্ত্রী মেহেরুন আক্তার (৪৮) ও তার পালিত নাতি শিশু জাইমতি (৪)। নাসরিন সম্পর্কে মেহেরুনের ভাতিজি।

এ ব্যাপারে গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মৃতদের অবস্থান ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন সোমবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা তিনটি লাশ স্বজনরা সনাক্ত করেন।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ সফিকুল ইসলাম ও বাদল মণ্ডলের ভগ্নিপতি মনিরুজ্জামান জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে জাইমতিকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে শিশুসহ ওই দুই নারী নাসরিন ও মেহেরুন শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন দুপুর ২টার দিকে নাসরিন আক্তারের সাথে তার স্বামী বাদল মণ্ডলের সর্বশেষ কথা হয়।

  • পরদিন সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর উপজেলায় যমুনা নদী থেকে দুই নারী ও এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর টিভিতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে স্বজনরা সোমবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে মৃতদেহগুলো সনাক্ত করেন। মৃতদেহগুলোর নাকে মুখে রক্তপাতের চিহ্ন রয়েছে।

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে যমুনা নদীতে দুটি বস্তা ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদী থেকে বস্তা দুটি উদ্ধার করে। বস্তা খুলে একটির ভেতর এক শিশু ও নারী এবং অপর বস্তায় আরেক নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের স্বজনেরা সোমবার রাতে পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র: কালের কণ্ঠ