সিরাজগঞ্জে এক বছরে আটক ২১ জঙ্গি, স্বজনদের গা-ঢাকা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে গত এক বছরে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের অধিকাংশকেও ডিবি পুলিশ আটক করে।

সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুরের বরইতলা, সদরের মাছুমপুর, ছোনগাছা, উল্লাপাড়ার রাঘববাড়িয়া, মোহনপুর, রসিদপুর ও বাদুল্লাপুর গ্রাম থেকে বিভিন্ন সময়ে জেএমবির এই ২১ সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই এবং বোমা তৈরির সারঞ্জমও জব্দ করা হয়। আটক জঙ্গিদের মধ্যে আট নারী সদস্যও রয়েছেন, যাদের অন্তত চারজন সুইসাইড স্কোয়াডের বলে জানা গেছে।

এছাড়া, সম্প্রতি টঙ্গী ও গাজীপুরে র্যা বের হাতে আটক হয় সিরাজগঞ্জের আরও দুইজন। এদের একজনের নাম মাহমুদুল হাসান ওরফে তানভীর। তিনি জেএমবির উত্তরাঞ্চলের আমির। অপরজনের নাম ফিরোজ আহম্মেদ। তানভীর উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রসিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। ফিরোজ আহম্মেদ জেএমবির নারী প্রশিক্ষণ ইউনিটের সদস্য। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের বাদুল্লাপুর গ্রামে।

ডিবি পুলিশের পাশাপাশি জেলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিট সিরাজগঞ্জের ওই সব গ্রাম এবং আশেপাশে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি বজায় রেখেছে। সে কারণে নতুন করে আটক হওয়ার ভয়ে আটক ব্যক্তিদের স্বজনরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। এদের মধ্যে কাজিপুরের বরইতলা গ্রামের প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলামও রয়েছেন।

তবে অনেকদিন লুকিয়ে থাকার কারণে ওইসব গ্রামের বাসিন্দাদের কেউ কেউ মনে করছেন, নিখোঁজদের দুই/একজনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটকে রেখেছে। খবর সংগ্রহে ওই সব গ্রামে গেলে গ্রামবাসী বা আটক ব্যক্তিদের স্বজনেরা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. ওয়াদেুজ্জামান বলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত এক বছরে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন নারী রয়েছেন, যাদের চারজন সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য। এদের অনেকেই আদালতের কাছে জবানবন্দিতে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

তবে ওয়াদেুজ্জামান এটাও বলেন, যেসব এলাকায় জেএমবি সদস্যরা ধরা পড়ছে, সেখানকার লোকজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে তেমনভাবে সহযোগিতা করছে না। বরং সংবাদমাধ্যম কর্মীরা গেলে তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ দাবি করেন, আশেপাশের জেলাগুলোতে এরই মধ্যে নাশকতার বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও সিরাজগঞ্জে এ ধরনের কোনও ঘটনা নেই। পুলিশের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি কঠোরভাবে বজায় রাখায় এখানকার বাসিন্দারা অনেকটা নির্বিঘ্নে রয়েছেন।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন