রবিবার , ১৬ জুন ২০২৪ | ১১ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সিকিমে আটকা পড়েছেন হাজারো পর্যটক, উদ্ধার কাজ ব্যাহত

Paris
জুন ১৬, ২০২৪ ৪:০০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে গাছপালা, বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে আটকা পড়েছেন অনেক পর্যটক। খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও চালাতে পারছে না প্রশাসন। আর বর্ষণের ফল পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে তিস্তার গর্জন।

এদিকে উত্তর সিকিমে দু’‌হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। তা‌দের উদ্ধারে বিমান বাহিনীর সাহায্য চেয়েছে সিকিম প্রশাসন। আর পাকইয়াং বিমানবন্দরের কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সিং বলেছেন, ‘রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্দেশ পেয়েছি। লাচুং এবং চুংথাং থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় সেটা থমকে আছে। আমরা উদ্ধার কাজ করতে প্রস্তুত।’‌

লাচুংয়েই তিনদিন ধরে আটকে রয়েছেন ১২০০ পর্যটক। মঙ্গনের পুলিশ সুপার সোনম ডিকচু ভুটিয়া জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে এখনও উত্তর সিকিমের দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি। স্থানীয়ভাবে সবরকম চেষ্টা চলছে। হেলিকপ্টার নামার মতো আবহাওয়া না থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, সিকিম আর্মড পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। রংপোয় হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। যোগাযোগের নম্বর ৮৭৬৮০৯৫৮৮১ এবং ৯০৫১৪৯৯০৯৬। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং শনিবার ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রোববার সকাল পর্যন্ত মঙ্গন জেলায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।

মঙ্গনের জেলা প্রশাসক হেম কুমার ছেত্রী বলেন, ‘‌দ্ইু হাজারের বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন লাচুং এবং চুংথাং এলাকায়। তবে তারা নিরাপদেই আছেন। তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারিভাবে সামান্য টেলিফোন যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’‌

আগামী কয়েকদিন সিকিম, দার্জিলিংসহ উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাই আরও নতুন এলাকায় ধস নেমে বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চারদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের দিকে যাওয়ার একাধিক রাস্তা ডিকচু-সঙ্কলং-টুং, মাগান-সঙ্কলং, সিংথাম-রাংরাং, রাংরাং-টুং ধসে বিধ্বস্ত হয়েছে।

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক