সিংড়ায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ তহুরা কাতরাচ্ছে হাসপাতালে

সিংড়া প্রতিনিধি
তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনে শিকার হয়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে তহুরা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ। পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বুধবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ওই গৃহবধূর স্বজনরা। বর্তমানে হাসপাতালেরর ২৬ নম্বর বেডে রয়েছেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধু।

এদিকে খবর পেয়ে নির্যাতিত তহুরা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিংড়া উপজেলা শাখার সদস্যরা।

নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের জামসেদ আলী সরদারের ছেলে সেলিমের সাথে ১ বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের মৃত: বিটলা প্রামাণিকের মেয়ে তহুরা বেগমের। তাদের সংসারে ৮ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় ত্রিশ হাজার টাকা যৌতুক তুলে দেয় সেলিমের হাতে তহুরা বেগমের মা রেহেনা বেওয়া। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী সেলিম মাঝে মধ্যেই তার স্ত্রী তহুরা বেগমকে মারপিট করে। বুধবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাঁশের গিরা দিয়ে ওই গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। পরে গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পরলে তাকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিত গৃহবধূ তহুরা বেগম বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রায়ই তাকে মারধর করা হয়। আর এবার বেধরক মারপিটে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত স্বামী সেলিম হোসেন বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে সে তার স্ত্রী কে মারপিট করেছে। আর সব সংসারেই কোন না কোন সমস্যা থাকে। কিন্তু তহুরা তার কথা না শুনে সব সময় শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের কথায় চলাফেরা করে।

এবিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিংড়া উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এই ভাবে মারপিট করা খুবই লজ্জাষ্কর। বিষয়টি জানার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আর বিষয়টি থানায় অবগত করা হয়েছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। বিষয় খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

স/অ