সিংড়ায় দরিদ্র কৃষকের ধান আগাছানাশক ছিটিয়ে বিনষ্ট, মামলা দায়ের

সিংড়া প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়ার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের বনকুড়ি গ্রামের এক হত দরিদ্র কৃষক মোজাম্মেল হক। ভূমিহীন হিসেবে ২০০৮ সালে সরকারের কাছ থেকে একখন্ড জমি পেয়েছিলেন। চাষাবাদ করে সংসার চালাতেন।

কিন্তু সেই জমির ধানগাছে প্রকাশ্যে উপড়ে ফেলে আগাছানাশক ছিটিয়ে বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আব্দুল জলিল ও তার ছেলে মো. সেলিম এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।

এবিষয়ে বুধবার বিকেলে সিংড়া আমলি আদালতে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোজাম্মেল হক। তবে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল জমিটি তার দাবি করে বলেন, প্রতিপক্ষ এবছর জোর করে ওই জমিতে ধান রোপন করেছিল। তাই কীটনাশক দিয়ে পরিস্কার করেছি।

বৃহস্পতিবার সরোজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০৮ সালে ভূমিহীন মোজাম্মেল হককে বনকুড়ি মৌজার ২০৫ নম্বর দাগে ৩৫ শতক জমি দান করে সরকার। তারপর থেকে ওই জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে কৃষক মোজাম্মেল হক। কিন্তু প্রতিপক্ষ আব্দুল জলিল তার ছেলে সেনা সদস্য মো. সেলিম এর ভয় দেখিয়ে ওই জমিটি দখলের চেষ্টা করছে। আর প্রকাশ্যে ধান উপড়ে ফেলে আগাছানাশক ছিটিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরীর ভয় দেখিয়ে তার জমিটি দখলের চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। প্রকাশ্যে ধান নষ্ট করা হয়েছে। এখন পরিবার ও পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এবিষয়ে আমলি আদালত মামলা গ্রহণ করে পিবিআই পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে ধান নষ্ট দুঃখ জনক বিষয়। বিষয়টি শুনে তিনি সরোজমিনে গিয়ে দেখে এসেছেন। তবে জমির সাইড নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

সিংড়া থানার ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, এবিষয়ে থানায় অভিযোগ আসে নাই। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রকিবুল হাসান বলেন, সরকারি জমি বুঝিয়ে দেয়া পর্যন্ত ভূমি অফিসের দায়িত্ব। পরবর্তীতে ওই জমি রক্ষা করার দায়িত্ব তাদের। প্রয়োজনে তারা আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।

স/অ