সিংড়ার চৌগ্রাম স্কুলের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

সিংড়া প্রতিনিধি
বিধি বহির্ভূত ভাবে নাটোরের সিংড়ার চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। সাবেক সভাপতি আলতাব হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুর রহমান যোগসাজসে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে পছন্দের লোক দ্বারা গোপনে পকেট কমিটি গঠন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এদিকে বিধি বহির্ভূত ভাবে তেরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অযোগ্য একজন সহকারী শিক্ষককে কমিটির সভাপতি করায় এলাকাবাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর পকেট কমিটি গঠনের পর থেকেই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীরা তা বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন।

এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী, জেলা প্রশাসক ও সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর চৌগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তী কমিটি গঠনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুর রহমানকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করেন জেলা প্রশাসক। পরে নিয়ম অনুযায়ী তফশীল ঘোষণা, মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা গ্রহণ করা হলেও মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাাছাই ও কোন ভোট গ্রহণ হয় নাই। বরং প্রতিষ্ঠান প্রধানের কার্যালয়ে দাখিলকৃত অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধির মনোনয়নপত্র বাদ দিয়ে সাবেক সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার যোগসাজসে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে মনগড়া নিজস্ব লোক দিয়ে গভর্নিং বডি গঠন করে গোপনে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর অভিযোগ করেন, চলনবিলের এই ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী স্কুলের গভর্নিং বডি গঠনে একজন অযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করা হচ্ছে। তাছাড়া আলতাব হোসেন তেরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। যা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটিতে সভাপতি হওয়া নীতি বহির্ভূত।

এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মির্জা বলেন, তাকে না জানিয়ে অবৈধ পন্থায় নীতি বহির্ভূত ভাবে গোপনে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এই কমিটি অনুমোদিত হলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হবে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।

এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি আলতাব হোসেন সরকারী চাকুরিজীবিরাও স্কুল ও কলেজের সভাপতি হতে পারেন দাবি করে বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন।

এবিষয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

স/অ