সাহিত্যে নবযুগের সূচনা করেন নজরুল : খালেদা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘যুগান্তরের কবি’ অভিহিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘তিনি বাংলা সাহিত্যে নবযুগের সূচনা করেন।’

জাতীয় কবির ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসাংবাদিত প্রাণপুরুষ। শত জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনি দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। নিজেও অত্যাচার সয়েছেন ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর। পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ কষ্টের মধ্যে থেকেও নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।’

নজরুলকে ‘বিস্ময়কর বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘তার ক্ষুরধার লেখনির মধ্যে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্রণা সুষ্পষ্ট। তার সাহিত্যে উচ্ছাস ও স্বত:স্ফুর্ততা এক অনন্য সৌন্দর্যময়তায় বিশিষ্ট শিল্পরুপ ধারণ করেছে।’

দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথাও স্মরণ করেন খালেদা জিয়া।  কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তিনি সকল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অনমনীয় প্রতিবাদী। তিনি লিখেছেন ‘কৈরে কৈরে স্বৈরাচারী বৈরি এই বাংলার’ ? তার কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। এ ছাড়া তার প্রকৃতি, মানবপ্রেম ও ভক্তিমূলক গান অনন্য বৈচিত্র্যময় সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে এক অনবদ্য স্বপ্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে। যে গানের আবেদন চিরকালীন ও চিরস্থায়ী।’

নজরুলের সৃষ্টিকর্ম চিরদিন স্বদেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন বিএনপি প্রধান।

তিনি জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সব কর্মসূচির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন।

অপর এক বাণীতে জাতীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সূত্র: রাইজিংবিডি