সালিশ করতে গিয়ে বিয়ে, সেই চেয়ারম্যানের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সালিশ করতে গিয়ে নিজেই কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা পটুয়াখালীর বাউফলের কনকদিয়া ইউনিয়নের সেই চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ তিনমাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যক্রম (অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্ত) চলবে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (২২আগস্ট) এ আদেশ দিয়েছেন। মো. শাহীন হাওলাদারের করা এক রিট আবেদনে রুলসহ এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে গত ৭ জুলাই বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় নিয়মিত আদালত খোলায় নতুন করে রিট আবেদন করেন শাহীন হাওলাদার।

অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোরীকে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠার পর গত ২৮ জুন ওই চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।

হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ গত ২৭ জুন এক আদেশে সালিশে বিয়ে করে ওই ইউপি চেয়ারম্যান কোনো ফৌজদারী অপরাধ করেছেন কীনা তা পিবিআইকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওই চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কীনা তা জেলা প্রশাসককে তদন্ত করতে বলা হয়। এছাড়া বিয়ে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কীনা তা তদন্ত করতে জেলা নিবন্ধককে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে নিরাপত্তা দিতে পটুয়াখালী এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গত ২৪ জুন রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর পিতা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানালে এনিয়ে গত ২৫ জুন ইউপি কার্যালয়ে উভয়ের পরিবারকে নিয়ে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। উভয়পক্ষ সালিশে উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান কাজী ডেকে মেয়েটিকে নিজেই বিয়ে করেন। পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পরদিনই মেয়েটি চেয়ারম্যানকে তালাক দেয়।

সূত্র: কালের কন্ঠ