সারা দেশে জব্দ থাকা মালামালের অবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

 সারা দেশের থানাগুলোর সামনে, ডাম্পিং স্টেশনে ও আদালত প্রাঙ্গণে যেসব মামলার আলামত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে, সেগুলোর সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি জানান, সারা দেশের থানাগুলোর সামনে, ডাম্পিং স্টেশনে ও আদালত প্রাঙ্গণে যেসব মামলার আলামত অরক্ষিত অবস্থায় আছে, সেগুলোর প্রতিবেদন সংগ্রহ করে আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে আইজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালে এ বিষয়ে পাঁচ আইনজীবী রিট করেন। রিটের পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

রুলে মালখানা ও থানায় অনিরাপদভাবে থাকা জব্দ মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

আইন সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

২০২২ সালে রিটের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল বছর বছর পড়ে থাকতে দেখি। এসব মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। জব্দ করা মালামাল এভাবে বছর বছর পড়ে থাকার পর তা রাষ্ট্রের কাজে লাগে না, আর মালিকেরও কাজে লাগে না।

তিনি বলেন, বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।

রিটকারী পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না) ও ইমরুল কায়েস।