সাপাহারে সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ

সাপাহার প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহারে সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ব্যবসায়ীদের হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকের দু’জন ক্যাশিয়ারের আচরণে গ্রাহকরা অতিষ্ট হয়ে পরেছে।

জানা গেছে, ব্যাংকের শত শত গ্রাহকের টাকা লেন-দেন করছেন একজন ষাটোর্ধ্ব ক্যাশিয়ার। তিনি আবার চোখে কমও দেখেন। টাকা গ্রহণ করতে বিলম্বের কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য গ্রাহকদের ব্যাংকের নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই ওই ক্যাশিয়ার টাকা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

টাকা বিতরণ করছেন অপর একজন ক্যাশিয়ার। তিনিও টাকা বিতরণের সময় গ্রহকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এতে করে অসংখ্য গ্রাহকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, মাসিক বেতন উত্তোলনের সময় ওই ক্যাশিয়ার শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টার দিকে ব্যবসায়ী মেসার্স তালুকদার অ্যান্ড সন্সের মালিক শরিফ তালুকদার ব্যাংকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ব্যবসায়ী শ্যামল সাহা ৩ লক্ষাধীক টাকা ব্যাংকে জমা দিতে গেলে ওই দু’জন ক্যাশিয়ার টাকা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

এতে করে ওই দু’জন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন। এ বিষয়ে ব্যাবসায়ী শ্যামল সাহা শাখা ব্যবস্থাপককে অভিযোগ করলে তাঁর টাকা বিকেল ৪ টার পরে শাখা ব্যাবস্থাপক নিজেই গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক সাপাহার শাখা ব্যাবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ঐ সময় আমি ব্যাংকে ছিলাম না। বিকেল ৪ টায় এসে শ্যামল সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর টাকা গ্রহণ করি।

তিনি বলেন, আমার কাছে শিক্ষকগণ অভিযোগ করেছেন। একাধিক গ্রহাকগণ ওই দুই ক্যাশিয়ারের অপসারণ ও এ বিষয়ে আশুসমাধানের জন্য সোনালী ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

স/আ