সাপাহারে নিজ বুদ্ধিমত্তায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করলো স্কুল ছাত্রী

সাপাহার প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা প্রত্যন্ত অঞ্চল পাতাড়ী ইউনিয়নের ড্রেনপাড়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী ১০৯ নাম্বারে কল দিয়ে নিজের বিয়ে নিজেই বন্ধ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

জানা যায়, পাতাড়ী ড্রেনপাড়া গ্রামের মোকলেছুর রহমান ও মা ফেরদৌসী বেগমে এর মেয়ে মোরশেদা খাতুন (১৩) সে পাতাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা-মা পাশের গ্রামের এক ছেলে সাথে মেয়ের বিয়ে দেয়ার সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করে ১২ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিন তারিখ ঠিক করেছিলেন। বাড়ীতে বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হতে দেখে শিক্ষার্থী মোরশেদা নিজ ঘরে নিজের বিয়ে বন্ধের জন্য ১০৯ নম্বারে কল দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। ঠিক এ সময়ে তার মা ফেরদৌসী বেগম মেয়ের কল করে বিয়ে বন্ধ করার কৌশল বুঝতে পেরে মেয়ের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে উপর শারীরীক নির্যাতন চালাতে শুরু করে।

নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে এই নম্বর কোথায় পেল জানার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে শিক্ষার্থী মোরশেদা নাম্বারটি তার গ্রামের শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ম্যানেজার শারমীন আক্তারের নাম বলে দেয়।

এর পর ওই মেয়ের বাবা মা লোক কেন্দ্রের ম্যানেজারের প্রতি চড়াও হয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ভয়ে আপাতত মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী’র সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, এ রকম কোন অভিযোগ আমি পাইনি তবে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
স/শ