সাপাহারে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

সাপাহার প্রতিনিধি:

নওগাঁর সাপাহারে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গৃহবধুর নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত গৃহবধু শামীমা খাতুন পত্নীতলা উপজেলার চান্দইল গ্রামের আ. ছালামের মেয়ে। তার বিয়ে হয় আড়াই বছর আগে। এব্যাপারে সাপাহার থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এদিকে নিহত গৃহবধুর আত্মীয়দের দাবি, তাদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর মধ্যপাড়ায় গত বুধবার রাতে গৃহবধু শামীমা খাতুন (২০) এর স্বামী মেহেদী হাসান (২৫) রাতে বনভোজন শেষে বাড়িতে আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে আসেন। এসময় স্ত্রী শামীমা খাতুন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন বলে স্বামী জানান। স্বামী তাকে ডাকাডাকি করলে স্ত্রী দরজা না খুললে স্বামী বাইরের ঘুমিয়ে পড়েন। আবার সকালেই কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন নিহতের স্বামী ও শশুড়। এদিকে সকাল প্রায় ৮টা পার হয়ে গেলে গৃহবধু শামীমা দরজা না খুললে পাশের বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখে ঘরের তীরের সঙ্গে শামীমার দেহ ঝুলে রয়েছে। পরে বাড়ির লোকজন লাশটিকে নিচে নামায়। এরপর লোকজন সাপাহার থানা পুলিশকে সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি অবগত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে।

এব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

জি/আর