বৃহস্পতিবার , ১ জুলাই ২০২১ | ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘সাকিব বলতে পারবে আমি পারব না, ব্যাপারটা গায়ে লেগেছে আমার’

Paris
জুলাই ১, ২০২১ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ

দেশব্যাপী আলোচিত ও সমালোচিত সাকিব এবং রিয়াদকাণ্ডের জেরে মর্মাহত হয়ে আম্পায়ারিং থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিবির আম্পায়ার ও সাবেক ক্রিকেটার মুনিরুজ্জামান।

আম্পায়ারিং পেশাকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি।  এ নিয়ে গণমাধ্যম ও ক্রিকেটপাড়ায় হইচই পড়ে গেছে।

কারণ ডিপিএলের ওই দুটি ম্যাচে সাকিব ও রিয়াদ যে দুই আম্পায়ারের সঙ্গে ‘বাজে আচরণ’ করেন, তাদের কেউ নন মুনিরুজ্জামান।

তবে তিনি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন?

কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুনিরুজ্জামান। তার মতে, সাকিবকাণ্ডে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আম্পায়ারদের জন্য খুব খারাপ একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। তা হলো— সাকিব মাঠে এসব বলতে পারবে, কিন্তু আম্পায়ার বলতে পারবে না।

একটি গণমাধ্যমকে বিসিবির আম্পায়ার মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘এটি অপমানজনক। আমার সহকর্মীদের সঙ্গে এমন হয়েছে মানে আমার সঙ্গেও হয়েছে। যে ম্যাচে সাকিব লাথি মেরেছে, ওই ম্যাচে কিন্তু তার হাতে একটা কাগজ দেওয়া হয়েছিল, যেটিকে ক্যাপ্টেনস রিপোর্ট বলা হয়। সেই রিপোর্টে সে কিন্তু আম্পায়ারদের নিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে, খারাপ কিছু লিখেনি।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘পুরো ক্রিকেটকে হয়তো একটা বার্তা দিতে চেয়েছে— এটি সাকিব বলতে পারবে, আমি বলতে পারব না। আমার গায়ে লেগেছে, ব্যাপারটি আমার কমিউনিটির জন্য অপমানজনক বলে। আমি যে জায়গাকে ধারণ করি, সেখানে আঘাত লেগেছে, আমার কষ্টের জায়গা এটাই।’

অবশ্য সাকিবের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি মুনিরুজ্জামান। আবার সাকিব থেকে এমন আচরণ আশাও করেননি।

তার মতে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকন সাকিব-রিয়াদ এমনটি করলে স্কুল ক্রিকেটের ছেলেরাও বাজে আচরণ করতে শিখবে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অশুভ সংকেত।

মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘সাকিব নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মানের একজন ক্রিকেটার। আমি তাকে সম্মান করি। ব্যক্তিগতভাবে তো তার সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। আমি বলতে চাই— সাকিব-রিয়াদ ন্যাশনাল হিরো। তাদের আচরণ অনেক প্রভাব ফেলে। নতুন যে খেলোয়াড়রা তৈরি হচ্ছে, তারা সাকিব-রিয়াদকে অনেক ভালোবাসে ও অনুসরণ করে। আর তারা যদি এ রকম করতে থাকে; আর ওদের দেখাদেখি স্কুল ক্রিকেটের ছেলেরাও একই আচরণ করতে থাকে; আমার মনে হয় না এটা আগামীর ক্রিকেটকে ভালো কিছু দেবে।’

প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক প্যানেলে থাকা বাংলাদেশের চার আম্পায়ারের পর আর যাদের ভালো আম্পায়ার হিসেবে ধরা হয়, তাদেরই একজন মুনিরুজ্জামান। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মুনিরুজ্জামান সব মিলিয়ে ১৩টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ সুপার লিগের যে ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে মাটিতে শুয়ে পড়েছিলেন, সে ম্যাচে মুনিরুজ্জামান ছিলেন টিভি আম্পায়ার।

 

সূত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - খেলা