সাংবাদিক পেটোয়াদের ক্ষেত্রে পুলিশের নিরবতায় প্রশ্ন!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিয়ে মৃত্যু, ধর্ষণসহ নানান ধরনের গুজব ছড়ানো ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এ পর্যন্ত অভিনেত্রী কাজী নওশাবা, প্রখ্যাত আলোকচিত্রী এবং অ্যাক্টিভিস্ট শহীদুল আলমসহ অনেককেই আটক করেছে পুলিশ। তবে আন্দোলনে নিউজ কভারেজের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একাধিক স্থানে সাংবাদিকরা বিভিন্ন হেলমেট পরিহিতদের হাতে মার খেলেও তাদের ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছে পুলিশ।

গত কয়েকদিনের ছাত্র আন্দোলনকে দমাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি অস্ত্র বা লাঠি-সোটাসহ হেলমেট পরিহিত কিছু যুবককে অবস্থান নিতে দেখা যায়। যাদের হাতে শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকরা গুরত্বরভাবে জখম হন।

এছাড়া টেলিভিশন চ্যানেল এর গাড়ি ভাঙচুর, ক্যামেরা ভাঙচুরসহ বেশ কয়েকটি নিন্দনিয় ঘটনা ঘটে। যার ফলশ্রুতিতে এই সন্ত্রাসীদের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় সাংবাদিকরা।

বিভিন্ন ছবি ও ফুটেজে তাঁদের অনেকের চেহারা স্পষ্ট বোঝা গেলেও এই যুবকদের ব্যাপারে রহস্যজনকভাবে নীরব পুলিশ৷

অপরদিকে চলমান ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টায় বিভিন্ন ধরনের গুজব যারা ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয় সরকার। ইতোমধ্যে অনেককে ‘গুজব ছড়ানোর দায়ে’ চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ৷ তাঁদের ধরিয়ে দেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে৷

এছাড়া গুজব ছড়ানোর অভিযোগে জুম বাংলা নিউজ পোর্টাল, অ্যাক্সিডেন্ট নিউজ, বাংলামেইল৭১ সহ ২৮টি আইডি সনাক্ত করে পুলিশ। যার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।

তবে সাংবাদিকদেরও ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ছবি, ভিডিও ফুটেজ থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তাই এ বিষয়ে অনেক সাংবাদিক ও সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

বুধবার সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেশন সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএইউজে) কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ বলেন, প্রশাসন উস্কানি দাতার পরিচয় প্রকাশ করছে। কিন্তু সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের ফুটেজ তারা চাইছে। প্রশাসনের ইচ্ছে থাকলে তাদের কাছে যে ফটেছ আছে তাই দিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারবে।