অসহযোগিতার অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দাবি রাবি প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়কের


রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে ১৬ সদস্যের করা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় অসহযোগিতার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন আহ্বায়ক অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান। বুধবার বিকেলে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, কমিটির ১৬ সদস্যের বিবৃতিতে আমি মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। বিবৃতিটির ভাষা বেপরোয়া, আক্রমণাত্মক এবং অসৌজন্যমূলক। যেসব তথ্য দিয়ে বিবৃতিটি সাজানো হয়েছে তা অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, দুটি ভিন্ন প্যানেল থেকে আমরা স্টিয়ারিং কমিটির আহবায়ক এবং সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। দলের আহ্বায়ক হিসেবে অন্য প্যানেল থেকে নির্বাচিত ১৬ সদস্যের নির্বাচনী অঙ্গীকারের প্রতি যেমন আমার দায়বদ্ধতা আছে তেমনই অন্য প্যানেলের নির্বাচনী অঙ্গীকারের প্রতি আমি সমানভাবে দায়বদ্ধ। এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে কাজ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। দলের অভ্যন্তরীণ ভিন্ন ভিন্ন সমষ্টির গতিশীলতা সামঞ্জস্য বিধানের কাজটি যেমন দুরূহ তেমনই সময়-সাপেক্ষ। দলের বৃহত্তর স্বার্থে এই সামঞ্জস্য বিধানের কাজটি করার জন্য আমার সময় প্রয়োজন। কিন্তু সংখ্যাধিক্যের বদৌলতে দলীয় স্টিয়ারিং কমিটির ১৬ সদস্য বিষয়টি বুঝতে নারাজ।

তিনি বলেন, স্টিয়ারিং কমিটির সভা আহ্বানে আমি গড়িমসি করেছি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও আমাকে ভিসি পদলোভী, ভিসির তল্পিবাহক বলা হয়েছে। অথচ নির্বাচিত হওয়ার কেবল ৩৪ দিনের মধ্যে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা প্রতিভা ও শ্রমসাধ্য কাজ বটে। খুবই দুঃখজনক যে, তারা তাদের এই মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগগুলো গণমাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং দলের ভিতরে সহনশীলতার সংস্কৃতি কারা নষ্ট করছে সকলের কাছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির বেশ কয়েকজন সদস্য।

স/রি