সরে গেলেন দুই বড় তারকা; সময় এখন তরুণদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: করোনাকালের মাঝেই নতুন কিছু করে দেখানোর আশা নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আগেই জানা গিয়েছিল, বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান পুরো সফরেই থাকছেন না। আর আজ জানা গেল, ওয়ানডে সিরিজ খেলেই দেশে ফিরবেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনেকটা তারুণনির্ভর দল নিয়েই খেলতে হবে টাইগারদের। তরুণদের জন্য নিঃসন্দেহে দারুণ সুযোগ এটি।

তৃতীয় সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে এই সফর থেকে অনেক আগেই ছুটি নিয়েছিলেন সদ্য ছেলে সন্তানের বাবা হওয়া সাকিব। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর একদিন আগে আজ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তামিম ঘোষণা দেন, তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন না। এটা নাকি সফরে আসার আগেই তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলেন। যে কারণেই হোক বিষয়টা এতদিন গোপন ছিল। আজ পরিষ্কার হয়ে গেল, দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে ছাড়াই লড়তে হবে টাইগারদের।

এমনিতেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২৬টি ম্যাচ খেলে একটিও জয় পায়নি বাংলাদেশ। প্রতি সফরেই পরাজয় হয় সঙ্গী। এর মাঝে বেশির ভাগ পরাজয়ই খুব করুণভাবে। এবার তামিম না থাকায় টি-টোয়েন্টির ওপেনিং পজিশন নিয়ে ভাবতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। লিটন দাসের সঙ্গী হতে পারেন সৌম্য সরকার। দুজনেই মেরে খেলতে পছন্দ করেন। যদিও সৌম্য অধারাবাহিক, তারপরেও একটি নতুন ওপেনিং জুটি বাজিয়ে দেখা যেতে পারে।

এমনিতেই রঙিন পোশাকে তামিম ইকবালের স্ট্রাইক রেট বর্তমানে প্রশ্নের মুখে। পাশাপাশি দলে সেই মাপের হার্ডহিটারেরও অভাব আছে। এখনই সময় নতুনদের প্রস্তুত করে তোলা। একাদশের কম্বিনেশন যাই হোক না কেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজে দায়িত্ব নিতে হবে তরুণদেরই। ওয়ানডে সিরিজেও তার খুব একটা ব্যত্যয় ঘটবে না। টেস্ট থেকে সাকিবের ছুটি ইস্যুর পর দেশের ক্রিকেটে যে নতুন হাওয়া লেগেছে, তাতে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ছুটি ও বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর এই নতুন বাস্তবতা মেনে নিয়েই হয়তো এগোতে হবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ