সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা কৃষিখাতে ভর্তুকি দিয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বর্তমান সরকার গত ৯ বছরে কৃষিখাতে ৬০ হাজার ২৬৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ভর্তুকি প্রদান করেছে। এর মধ্যে সার খাতেই সর্বাধিক ৫৮ হাজার ১২৯ কোটি টাকার ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে।

এর ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ স্থান, আলু উৎপাদনে ৭ম স্থান এবং সবজি উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দেশ।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই সারের মূল্য কমিয়ে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। রাসায়নিক সারে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখার ফলে কৃষকগণ স্বল্প মূল্যে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করতে পারছে। সারের ভর্তুকি প্রদানের পাশাপাশি সেচ কাজে বিদ্যুৎ এ রিবেট, ইক্ষু চাষে ভর্তুকি প্রদান এবং বিভিন্ন সময়ে প্রণোদনা প্রদান করার ফলে কৃষকগণ স্বল্প মূল্যে ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন। সঠিক সময়ে সুলভ মূল্যে সার পাওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

বেগম ফজিলাতুননেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর হতে অদ্যাবধি প্রণোদনা কর্মসূচি এবং পুনর্বাসন বাবদ মোট ৮২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ সকল কর্মসূচির মাধ্যমে ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনায় অভিযোজন কৌশল হিসেবে পানি, মাটির পুষ্টি ব্যবস্থাপনা, শস্য নিবিড়করণ এবং কৃষিতে প্রযুক্তি উন্নয়ন ঘটাতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেচের জন্য জমির কোনায় মিনি পুকুরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, তাপ সহনশীল গমের জাতের সম্প্রসারণ, জলমগ্ন সহিষ্ণু ধানের জাত ব্রিধান-৫১, ব্রিধান-৫২, বিনাধান-১১ ও বিনাধান-১২ চাষের সম্প্রসারণ হচ্ছে।

মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন ট্রাক্টর, পাওয়ারটিলার, পাওয়ার থ্রেসার, রিপার, ফুটপাম্প, গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র প্রভৃতি বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশ কৃষি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ২০০৯-১০ হতে ২০১৭-১৮ বর্ষ পর্যন্ত ৯ বছরে লবণাক্ততা সহিষ্ণু বিনা ধান-১০, বিনাধান-১৪, বিনা ধান-৮, বিনা ধান-৪৭, বিনা ধান-৫৫ ও ব্রি ধান-৬১সহ মোট ৬টি জাতের বোরো ধানবীজ কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।