সুতরাং এ সরকারের পতন অতি সন্নিকটে।সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়।
ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। অতীতে একাধিকবার তা প্রমাণিত হয়েছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন। সুতরাং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের কোনো বিকল্প নেই। তাই এ সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ এবং নির্বাচন কমিশন ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, এ সরকার আবারও বিএনপিসহ বিরোধীদলকে বাইরে রেখে এক তরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, জনগণ কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এ সমন্বয়ক বলেন, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নেমে পড়েছে। সুতরাং এদের পতন অতি সন্নিকটে। যেকোনো দিন দেখবেন পদত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেছে।
এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মণ্ডল, জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, এনপিপির নবী চৌধুরী, মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে পুনরায় আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
