‘সরকারের উন্নয়নের নিচে চাপা পড়ছে জনগণের চাপা কান্না’

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বাম জোটের নেতারা দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সরকারের পদত্যাগ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের পুনরায় মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং দুর্নীতি-অপচয় ও টাকা পাচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুর সাত্তার, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আমেনা বেগম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে নেতারা বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আজও বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করায় দেশের এই অবস্থা হয়েছে। সরকার উন্নয়নের যে ঢাক পিটাচ্ছে তার নিচে চাপা পড়ছে জনগণের চাপা কান্না। বাকস্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নেই। একের পর এক অগণতান্ত্রিক আইনে জনগণের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চালসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না, বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। সরকারের ভুল নীতি-দুর্নীতি-অপচয়ের ফলে দফায় দফায় বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানির দাম বাড়িয়ে বেঁচে থাকাটাই দায় করে ফেলেছে।

তারা আরো বলেন, ‘করোনার আঘাত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই মূল্যস্ফীতি চরম আকার নিয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হবে, মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। মূল্যবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে জর্জরিত মানুষের মুক্তির স্বার্থে এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’

গণতন্ত্র ও ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান নেতারা।

সূত্র: কালের কণ্ঠ