সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়া বিধান সংক্রান্ত সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা সংবিধান পরিপন্থি বলে বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমন কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।

আমিন উদ্দিন বলেন, সাধারণ জনগণের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীর একটা পার্থক্য আছে। জনগণ, সরকারি কর্মচারী, আইনজীবী প্রত্যেকে আলাদা আলাদা একেকটা ক্লাসের অন্তর্ভুক্ত।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, অনেকেই সরকারি কর্মচারীদের হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে থাকেন। তখন ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। এ ভোগান্তি এড়াতেই সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি একটা বিধান রাখা হয়েছিল। তবে আদালত আজকে যে রায় দিয়েছেন সে রায়ের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আপিল করবো।

সাধারণ মানুষও এমন হয়রানির শিকার হতে পারে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের সঙ্গে তাদের একটা পার্থক্য আছে। আব্দুর সবুরের মামলাটি যদি আপনারা দেখেন সেখানে আপিল বিভাগ বলেছেন সবাই সমান হবে না। জনগণ, সরকারি কর্মচারী, আইনজীবী প্রত্যেকে আলাদা আলাদা একেকটা ক্লাসের অন্তর্ভুক্ত।

এর আগে সকালে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারাটি সংবিধান পরিপন্থি বলে তা বাতিল করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ বিধানটিকে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেন আদালত। এর আগে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফদারে সরকারের পূর্ব অনুমতি নেওয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ