সরকারকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় করবো: ফখরুল

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

সরকারকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হোটেল সিক্স সিজনে এক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ সমগ্র জাতি সরকার পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে। এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। তাই জনগণের প্রতিনিধিকে ক্ষমতায় আনতে অবশ্যই ১ দফা আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ২০০৬ সালে বিরোধীদলের নেত্রী থাকা অবস্থায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য রেখেছিলেন- ‘সংবিধানের ধারা অব্যাহত রাখতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান কার্যকর করতে হবে’। সংস্কারের কথা বলে তিনি সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেছিলেন। তবে আজ কেন তত্ত্বাবধায়ক দিতে এত আপত্তি।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, সরকার যতই আপত্তি তুলুক, সব রাজনৈতিক দলগুলো আজ একই দাবিতে একমত। আমরা সরকারের পদত্যাগ চাই। এই সংসদের বিলুপ্তির মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সামনে তত্ত্বাবধায়কের গুরুত্ব তুলে ধরা।

নির্বাচন ছাড়া জনগণের প্রতিনিধিদের ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাকশাল কায়েম করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় করে নির্বাচনে যাওয়া।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আল নোমান, এ জেড এম জাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান।

এছাড়া নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা হাসনাত কাইয়ুম, সাইফুল হক, গণ-ফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ব্যাপারীসহ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যারা সরকার গঠন করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম দাবি তারা তোলে, এরপর মওদুদ আহমেদ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেন। অথচ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।