সম্পর্ক নিয়ে যে প্রত্যয় ব্যক্ত করল ইরাক ও ইরান

প্রতিদিনই নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ইরাক ও ইরান।

ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, শত্রুদের সম্পর্ক নষ্ট করার সব রকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ইরান ও ইরাকের মধ্যে সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা হবে।

তিনি রবিবার তেহরান সফররত ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাজেমির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রায়িসি বলেন, ইরান ও ইরাকের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হলে দেশ দু’টি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারবে। এ কারণে বাগদাদের সঙ্গে প্রতিদিনই সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে তেহরান।

ইমাম হোসেইন (আ.)’র শাহাদাতের চেহলাম বার্ষিকী উপলক্ষে ইরাক ইরানি নাগরিকদের জন্য ভিসার সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট রায়িসি। তিনি বলেন, এর ফলে আসন্ন আরবাঈন উপলক্ষে অনেক বেশি সংখ্যক ইরানি নাগরিক কারবালা জিয়ারত করতে যেতে পারবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন সারাবিশ্ব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তখন ইরাকের পক্ষ থেকে ভিসা বাড়ানোর ঘোষণা ইরানি নাগরিকদের জন্য ‘একটি ভালো সংবাদ।’

গত বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে ইরাক আরবাঈন উপলক্ষে বিদেশি নাগরিকদের ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছিল।আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর চলতি বছরের আরবাঈন উদযাপিত হবে।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ইরাকের পাশে থাকার জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী কাজেমি। তিনি বলেন, ইরাকি জনগণ এই সমর্থনের কথা কখনও ভুলে যাবে না। মুস্তফা আল-কাজেমি বলেন, বর্তমানে যখন ইরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে তখন এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানি জনগণের পাশে থাকবে তার দেশ।

তিনি বলেন, দু’দেশের জনগণের স্বার্থে সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক যথাসম্ভব শক্তিশালী করবে বাগদাদ ও তেহরান।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন