সমালোচনার মুখেও শুরু হলো ভোটগ্রহণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের বিস্তার আশঙ্কায় আপত্তি সমালোচনার মুখে শুরু হয়েছে ঢাকা-১০ আসনসহ দেশের তিনটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন।

আজ শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টায় ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪ ও গাইবান্ধা-৩ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে টানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

ঢাকা-১০ আসনের সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইভিএমে। প্রতিটি কেন্দ্রে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতামূলক ব্যানার টানানো এবং প্রতিটি কক্ষে টিস্যু পেপার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

শেখ ফজলে নূর তাপস ছেড়ে দেন ঢাকা-১০ আসন। গত ২৭ ডিসেম্বর মো. ইউনূস আলী সরকারের মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ এবং ১০ জানুয়ারি মো. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে বাগেরহাট-৪ আসন শূন্য হয়।

আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, জাতীয় সংসদের বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এ ছাড়া ১৮ জানুয়ারি বগুড়া-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মো. শফিউল ইসলাম, বিএনপির শেখ রবিউল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মিজানুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ১১৭টি ভোটকেন্দ্রে ৭৭৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১২ হাজার ২৮১।

মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৪ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৪ জন। ভোটকেন্দ্র ১৪৩টি এবং ভোটকক্ষ ৬২৯। এই নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁরা হলেন আওয়ামী লীগে মো. আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টি থেকে সাজন কুমার মিস্ত্রী।

এ ছাড়া সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৩  আসনে মোট ভোটার চার লাখ আট হাজার ৭৪ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩২ এবং ভোটকক্ষ ৭৮৬টি। এই নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁরা হলেন  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিএনপির অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির মইনুল রাব্বী চৌধুরী এবং জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি।