গোদাগাড়ী সমবায় পরিদর্শক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

গোদাগাড়ী উপজেলা সমবায় অফিসের সাবেক সহকারি পরিদর্শক মোঃ খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগীরা দীর্ঘদিন হতে অর্থ ফেরত চেয়ে খাইরুল ইসলামের নিকট ধর্না দিলেও পাত্তাই দিচ্ছেনা এই কর্মকর্তা। অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা সমবায় অফিসারের নিকট সাবেক সহকারি পরিদর্শন খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নগদ অর্থ ফেরত চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তোভোগী তিনজন।

ভূক্তভোগি তিনজন হলেন, গোদাগাড়ী পৌর এলাকার ভগবন্তপুর গ্রামের আব্দুল মতিন, শিষ মোহাম্মদ ও জাহিদুল ইসলাম। এসব অভিযোগের অনুলিপি সমবায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় মহাপরিচালক, রাজশাহী বিভাগীয় সমবায় অফিস  ও জেলা সমবায় অফিসসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  গোদাগাড়ী উপজেলা সমবায় অফিসে সহকারি পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় নতুন সমিতি নিবন্ধনের করার জন্য আইডি কার্ডে ও ছবি গ্রহণ করে নতুন সমিতি নিবন্ধনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাহিদুল ইসলাম ১৮ হাজার টাকা, শিষ মোহাম্মদ ২০ হাজার টাকা ও আব্দুল মতিনের নিকট হতে ২২ হাজার টাকা গ্রহণ করে। দীর্ঘদিন সমিতি নিবন্ধন না হওয়ার ফলে টাকা ফেরত চাইতে থাকে ভূক্তভোগীরা।

এরই মাঝে গোদাগাড়ী সমবায় অফিস হতে বদলী হয়ে রাজশাহীর মাগমারা অফিসে চলে যায়। দুর্ণীতিবাজ সহকারি পরিদর্শক খাইরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন সময়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে।

বর্তমানে এখন সে আর মোবাইল ফোন রিসিভ করছে না। অপরিচিতি মোবাইল নম্বর হতে ফোন করলে ফোন রিসিভ করে তাদের কে না চেনার ভান করে ফোন কেটে দিচ্ছে বলে জানান তারা।

শুধু এই তিন জনই নয়, এমনি ভাবে অনেক জনের কাছে সমবায় এই কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে সমিতি নিবন্ধন ও পকুর টেন্ডার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট হতে নিয়ে দেবে বলে লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করে আত্মসাত করেছে বলে জানা গেছে। এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার , জেলা প্রশাসক, দূর্নীতি দমন কমিশনসহ নানান দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল হয়েছে।

ধান্দাবাজ এই কর্মকর্তা  রাজশাহী শহরে এখন অনেক টাকার মালিক ও সম্পদ গড়েছে বলে জানা গেছে।

সহকারি পরিদর্শন মোঃ ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আমি সমিতি নিবন্ধন করেদেব বলে টাকা নিয়েছি তবে সেই সময় নতুন সমিতি নিবন্ধন করা অফিস হতে বন্ধ ছিলো বলে করা যাইনি। তবে অভিযুক্তরা টাকা পরিমান এত বেশী না বলে মন্তব্য করেন।

এই বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা সমবায় অফিসার নিপেন্দ্র নাথ সহার মোবাইলে একাধিক বার কল ও এসএমএস দিয়ে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

স/শ